ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় সামনে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের নাম। তদন্তকারীরা বলছেন, ট্যাবের টাকার জালিয়াতির মূল জায়গা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া! এবার সেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার হল এক যুবক।যদিও যুবকের দাবি, ট্যাবের টাকা হাতানোর ব্যাপারে কিছুই জানেন না তিনি। বরং তার দাবি, স্থানীয় এক জনকে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন।সেখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।
প্রসঙ্গত, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার স্বার্থে ট্যাব কেনার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি। কোথাও কোথাও আবার এক জনের টাকা চলে গিয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। এখন তদন্তে স্পষ্ট যে এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে আছে এক বড় চক্র! সাইবার অপরাধীরা জাল পেতে পড়ুয়াদের টাকা আত্মসাৎ করছে। অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে টাকা হাতানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
গত শনিবার কোচবিহারের দিনহাটা থেকে মনোজিৎ বর্মণ নামে এক প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মনোজিৎকে জেরা করেই জানা যায় উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা সাবির আলমের নাম। মনোজিতের বয়ানের ভিত্তিতেই সোমবার রাতে ইসলামপুর কে সাবিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, ট্যাবের বরাদ্দ টাকা তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল।তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই মনোজিতের নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ১৫-২০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন। তদন্তকারীদের দাবি, তার মধ্যে আটটি অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেলেঙ্কারির টাকা ঢুকেছে।
অবশ্য ধৃত সাবির আলম জানান, তিনি ট্যাবের টাকা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিনি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিলেন। মাটি কাটার টাকা ঢুকবে বলে কমিশনের ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়ে বিপদে পড়েছেন। সেই দাবি কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।