কলকাতা শহরের ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে। নাহলে এই শহর তার পরিচিতি হারাবে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ উইক-এর শেষদিনে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ও কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কনজারভেশন কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রিফাইনিং গ্রেডেশন : হেরিটেজ ইন কলকাতা’ অনুষ্ঠানে সোমবার এমন বার্তাই দিলেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
মেয়র বলেন, আমাদের শহরের পরিচিতিটাই হল এই শহরের ঐতিহ্য। এটা ঠিক যে অনেক হেরিটেজ আমরা সংরক্ষণ করতে পারিনি। তার মধ্যে একটি হল ত্রিপুরা হাউজ। কিন্তু এই হেরিটেজ রক্ষায় আমাদের শপথ নিতে হবে। নাহলে আমাদের শহরের আইডেন্টিটিটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

শহরের হেরিটেজগুলি রক্ষায় ইতিমধ্যেই তৎপর পুরসভার হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি। সারা শহরে ১৩৯২টি হেরিটেজকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রেডের ভিত্তিতে তার মধ্যে অনেকগুলিকেই হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এই ১৩৯২টি হেরিটেজ সাইটের মধ্যে ১৭০টি হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে ইতিমধ্যেই ব্লু প্লেট লাগানো হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, হেরিটেজ তকমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সংশোধন প্রয়োজন। এর জন্য পুরসভার তরফে হেরিটেজ সাইটগুলির আর্কিটেকচারাল ভ্যালু ও হিস্টোরিকাল ভ্যালুর ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সোমবারের অনুষ্ঠানে সেই সমীক্ষার প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়। এরপর পুরসভার হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি ও রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনের বিশেষজ্ঞরাই গ্রেডেশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এইভাবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে হেরিটেজ গ্রেডেশন করা হলে কোনও হেরিটেজ উপেক্ষিত হবে না বা কোনও নন-হেরিটেজ বিল্ডিং অবৈধভাবে হেরিটেজ তকমা পাবে না বলে জানিয়েছেন মেয়র। এই নিয়ে পুরসভার হেরিটেজ সংক্রান্ত কমিটির জন্য বরাদ্দ অর্থ এলেই গ্রেডেশনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার।
আরও পড়ুন- ফের সেরার মুকুট বাংলার! দেশে রাজ্যওয়ারি মহিলা আয়করদাতার তালিকায় প্রথম দশে বাংলা




































































































































