রাজভবনে নিজের মূর্তি নিজে উন্মোচন করে এখন তদন্ত কমিটি গড়ার ‘নাটক’ ‘বাংলার মায়াবতী’ সিভি আনন্দ বোসের (C V Anand Bose)। প্রোটোকল ভেঙে শনিবার রাজভবনে নিজের মূর্তি বসিয়ে বেজায় সমালোচনার মুখ পড়েন রাজ্যপাল। এর পরেই রাজভবনের নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মূর্তি। মূর্তি কাণ্ডে মুখ বাঁচাতে নিজেই তদন্ত কমিটি গঠন করেন খোদ রাজ্যপাল।
শনিবার, রাজভবনে চিত্র প্রদর্শনী পর্বে নিজের মূর্তি উন্মোচন করেন সি ভি আনন্দ বোস। তা দেখে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল (TMC)। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্যোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “এ তো পুরো জটায়ু। রাজভবনে ম্যাকমোহন।“ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “নিজেই নিজের সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন।“ CPIM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, এতে রাজ্যপালের মর্যাদার অসম্মান হয়েছে। রাজ্যের জন্যই এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। রসিকতাও ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সত্যজিৎ রায়ে কালজয়ী ছবি হীরকরাজার দেশে ছবির ‘ভরসাফূর্তি’ উৎসবে রাজার নিজের মূর্তি নিজে উন্মোচনের সঙ্গে তুলনা টানেন। সব মিলিয়ে তীব্র বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে রাজভবন।
মুখ বাঁচাতে রাজভবনের তরফ থেক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মূর্তিটি ভারতীয় জাদুঘরের তরফে ওই উপহার দেওয়া হয় রাজ্যপালকে। মূর্তিটি তৈরি করেছেন ভারতীয় জাদুঘরের শিল্পী পার্থ সাহা। আনন্দ বোস নাকি সেটি উন্মোচন করেননি, উপহার গ্রহণ করেছেন। এবার মূর্তিকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন করেন খোদ রাজ্যপাল (C V Anand Bose)। কীভাবে প্রোটোকল ভেঙে ওই মূর্তি এল- খতিয়ে দেখা হবে। বিতর্ক ধামাচাপা দিতে আনন্দ বোসের মূর্তিটি সরিয়েও দেওয়া হয়েছে।