গত তিন বছরে সোশ্যাল মিডিয়ার (social media) একাধিক প্লাটফর্ম থেকে কত তথ্য মোছা হয়েছে এবং তার পিছনে কী কারণ, তা নিয়ে কোনো তথ্যই নেই মোদি সরকারের কাছে। তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের ‘টেকডাউন’ (takedown) নোটিশের পরিসংখ্যান দাবি করলে কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক কোনও তথ্যই দিতে পারেনি। মন্ত্রকের উত্তরে প্রমাণিত, যথেচ্ছভাবে পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে স্বৈরাচারী মোদি সরকারের সময়ে। সেক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে।
লোকসভায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (X formerly Twitter) এবং মেটা (Meta) থেকে তথ্য মোছার বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান দাবি করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে গত তিন বছরে কত পোস্ট মোছা হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে কোন কোন কারণে সেইসব পোস্ট মোছা হয়েছে তা জানতে চান সাংসদ। যে পোস্ট মোছার আবেদন জানানো হয়েছে, তা কোন প্রক্রিয়া রিভিউ (review) করা হয়েছে এবং ‘টেকডাউন’ (takedown) নোটিসের পরে কী ফল হয়েছে তার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয় কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে।
সেই সঙ্গে অভিষেক প্রশ্ন করেন,, এই পোস্টগুলি মোছার আবেদনের ক্ষেত্রে সরকার সংবিধানের (constitutional) বাক-স্বাধীনতা (free speech) ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কীভাবে রক্ষা করেছে।
অত্যন্ত হতাশাজনক জবাব পাওয়া যায় সাংসদের এই বিষয়ক প্রশ্নের। বাস্তবে কোনও পরিসংখ্যানই পেশ করতে পারেনি কেন্দ্রের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক (Electronics and Information Technology)। শুধুমাত্র ২০২১ সালের তথ্য সম্প্রচার আইনকে তুলে ধরা হয় উত্তর হিসাবে। পোস্ট মোছার (takedown) ক্ষেত্রে নয়টি কারণ উল্লেখ করা হয়। তবে কোন পোস্টের ক্ষেত্রে কোন কারণ কার্যকর, তার কোনও উল্লেখ নেই মন্ত্রকের জবাবে।
স্বাভাবিকভাবেই পোস্ট মুছতে (takedown) জনগণের সাংবিধানিক অধিকার (constitutional right) কীভাবে রক্ষা করেছে মোদি সরকার, তারও কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি মন্ত্রী জিতিন প্রসাদের মন্ত্রকের তরফে। সংসদে প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপযুক্ত জবাব দিতে না পারায় লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
–
–
–
–
–
–