বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি: ফুরফুরা শরিফে শান্তি-ঐক্যের বার্তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

0
3

বরাবরই সর্বধর্ম সমন্বয়ে জোর দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার, ফুরফরা শরিফে গিয়ে ইফতারে অংশ নেন তিনি। একই সঙ্গে বিরোধীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সমালোচনার কড়া জবাব দেন মমতা। বলেন, “আমি যখন কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে যাই, বড়দিন মধ্যরাতের ক্যারোলে অংশ নিই, দুর্গাপুজোতে যাই, কালীপুজো করি তখন তো কেউ এই প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারে যোগ দিলে প্রশ্ন উঠছে কেন?” এ দিন রাজ্যে সম্প্রীতি, শান্তি, ঐক্যে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, হুগলিতে একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল আবু বকরের নামে হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।

বিরোধীদের রাজ্যনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মন্তব্যের সমালোচনা করে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “মনে রাখবেন আমি যেমন খ্রিশ্চানদের অনুষ্ঠানে যাই তেমনই ঈদ মুবারকেরও যাই। ইফতার নিজে করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদোয়ারেও যাই, প্রতিটি ধর্মের অনুষ্ঠানেই আমি যাই। কারণ, আমি মনে করি বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি। তাই যেমন দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছি তেমনই রমজানে সকলের দোয়া প্রার্থনা করেছি।”

OBC সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলার জন্য রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেন, পরিকাঠামো তৈরি করেই হুগলিতে (Hoogli) একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল আবু বকরের নামে হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

প্রথমবার ২০১২ ও দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালে ফুরফুরায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এ দিন ৫টা ১০ মিনিটে নাগাদ সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। ইফতারে যোগ দেন। বলেন, “আমি খ্রিষ্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, ইদ মোবারকেও যাই, নিজে ইফতার করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদ্বারে যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া নাচেও যাই…। আমি মনে করি, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। সকলের হয়ে আজ দোয়া করলাম।“
আরও খবরফলতায় সেবাশ্রয় শিবির পরিদর্শনে অভিষেক

ফুরফুরার পীরজাদারাও মুখ্যমন্ত্রীর সম্প্রীতির বার্তার প্রশংসা করেন, “এখানে হিন্দু মসুলমান সকলে একসঙ্গে বসবাস করি। কিছু অশুভশক্তি আমাদের এই ভালবাসার মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ভাবে নজর রেখেছেন।”