পা নয়, ভরসা হুইলচেয়ার, তবুও ২৭ জন ‘দৌড়ালেন’ ম্যারাথনে

0
4

প্রতিযোগিতা মানেই স্পোর্টিং স্পিরিট (sporting spirit)। হারা-জেতার থেকেও অংশগ্রহণই সেখানে বিশেষ। আর যাদের জীবন ‘থমকে’ যাওয়ার কথা হুইলচেয়ারে (wheel chair), তাঁরা যখন ম্যারাথনে (Marathon) অংশ নেন, তখনই যেন সেই স্পোর্টিং স্পিরিটের যথার্থ উদযাপন হয়। তেমনটাই করে দেখালেন পাঁচ কিলোমিটার হুইল চেয়ার ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী ২৭ প্রতিযোগী।

রবিবারের সকালে বিশেষভাবে সক্ষমদের হুইল চেয়ারে (wheel chair) এই ম্যারাথন দৌড়ের উদ্যোক্তা ‘ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স কলকাতা (আইএনকে) (INK)। যুবভারতী স্টেডিয়ামের ভিতরের বৃত্তকার রাস্তা ঘুরে মূল গেটের কাছে সমাপ্তি হয় ম্যারাথনের৷ ক্লান্তি এলেও যে তাঁরা ক্লান্ত হতে রাজি নন, সেটাই সমাপ্তির কাছে প্রত্যয়ী মুখগুলির চেহারা বলে দিচ্ছিল।

আর এই হারকে জয় করা অংশগ্রহকারীদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার শ্রী মুকেশ, মোহনবাগান ফুটবলার সেখ সাহিল প্রমুখ৷ আইএনকে (INK) হসপিটালের ডিরেক্টর সুপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, হুইল চেয়ার (wheel chair) নিয়েও জীবন অতিবাহিত হয়৷ ২০২২ সালের পর, এ বছরও মাঠে-ময়দানে তা বুঝিয়ে দিলেন অংশগ্রহণকারীরা৷

এবছর মোট ২৭ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন এই ম্যারাথনে। বাংলার কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার শুধু নয়, বিহার, ঝড়খন্ড সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেন প্রতিযোগীরা। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার খেতাবজয়ীরাও। ছিলেন এশিয়ান গেমসে (Asian Games) রুপো জয়ী প্রবীর সরকার৷ আইএনকে-র (INK) উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, হুইল চেয়ারে নির্ভর মানুষদের সর্বদা এভাবেই মোটিভেট করতে হবে।

তবে এদিনও হুইল চেয়ার ম্যারাথনে (marathon) অংশগ্রহণকারীদের মুখ থেকে উঠে এলো কেন্দ্র সরকার, বিশেষত রেলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ৷ ট্রেনে বিশেষভাবে সক্ষমদের সংরক্ষিত কোচে লাগাতার বঞ্চনার অভিযোগ শোনালেন বাঁকুড়ার শুভাশীষ মণ্ডল, বর্ধমানের তাপস মণ্ডল, ঝড়গ্রামের সুকুমার ভুঁইয়ারা৷ লেকটাউনের বাসিন্দা টোটন দে অভিযোগ করলেন, ‘নজরদারির অভাবে সংরক্ষিত কোচে হামেশায় সাধারণ যাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকছে৷ ফলে ভারতীয় রেলে (Indian Railway) বিশেষভাবে সক্ষমদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে৷ এই দুর্ভোগের অবসান দরকার৷’