ডিজিটাল লেনদেনে সারা দেশে নজির তৈরি করল বাংলা। কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে, ই-ট্রানজাকশন অর্থাৎ অনলাইন লেনদেন বাংলার ধারে-কাছে নেই কোনও ডবল ইঞ্জিন রাজ্য। শুধু ভূমি-রাজস্ব ক্ষেত্রেই বাংলা অনলাইন লেনদেনে রেকর্ড গড়েছে। কেন্দ্রের ই-তাল পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলায় মোট ই-ট্রানজাকশন হয়েছে ৩৯ কোটি ৩২ লক্ষ। এর মধ্যে ২৫ কোটি ২৭ লক্ষ লেনদেন হয়েছে শুধুমাত্র ভূমি-রাজস্ব ক্ষেত্রে। এছাড়াও অনলাইনে শংসাপত্রের আবেদন ও প্রদান, কমার্শিয়াল ট্যাক্স, স্বাস্থ্য বিষয়ক অনলাইন পরিষেবা, সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশনের মতো অনলাইন পরিষেবাগুলিতেও ব্যাপক অনলাইন লেনদেন হয়েছে বাংলায়।
উওরপ্রদেশ, অসম, ওড়িশার মতো ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি বাংলার তুলনায় অনেক পিছিয়ে। পিছিয়ে তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানার মতো অ-বিজেপি রাজ্যগুলিও। বাংলা ভূমিসংস্কার ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেনে পিছনে ফেলেছে অন্যান্য রাজ্যকেও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক দফতরে অনলাইন পরিষেবা চালু হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা। অর্থদফতরের কাজ চলে পোর্টালের মাধ্যমে। ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরের মিউটেশন, জমির চরিত্র বদলের জন্য আবেদন, খাজনা প্রদান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ডিজিটাল মাধ্যমেই হয়। এই অনলাইন লেনদেনের ফলে রাজস্ব আদায়েও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। খাজনা দেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ভূমি রাজস্ব আদায় পৌঁছেছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকায়। চলতি আর্থিক বছর শেষে এই অঙ্ক অন্তত ১৩০০ কোটিতে পৌঁছবে। ২০২৩-২৪ সালে এই খাতে আদায় হয়েছিল এক হাজার কোটি টাকা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































