শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৯০-তম আবির্ভাব তিথি(Sri Ramakrishna Birth Anniversary) উপলক্ষ্যে শনিবার ভোর রাত থেকেই ভক্তরা পৌঁছে গেছেন বেলুড় মঠ (Belur Math) চত্বরে। সকালে মঙ্গলারতির পর মঠের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীবৃন্দের বেদপাঠ, স্তবগান ও ভজনের মধ্যে দিয়ে ঠাকুরের জন্মতিথি উৎসবের সূচনা হয়। ভক্তিগীতি, কবিগান, লোকগীতির পাশাপাশি গীতি আলেখ্য এবং কালীকীর্তনেরও আয়োজন করা হয়েছে। বেলা বাড়তেই ভক্তদের ঢল রামকৃষ্ণ মঠ মিশন প্রাঙ্গণে (Ramakrishna Math, Belur)। সকাল ১১ টা থেকে হাতে হাতে প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। বেলুড় মঠের মতোই একই ছবি শ্রীরামকৃষ্ণ জন্মস্থান কামারপুকুর (Kamarpukur )মঠে। সকালে নগর পরিক্রমনের পর বিশেষ পুজো হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। সানাই বাদন, মূকাভিনয়, কথামৃত পাঠ ও আলোচনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
১৮৩৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হুগলি জেলা কামারপুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গদাধর চট্টোপাধ্যায়। পরে দক্ষিণেশ্বরে তিনিই হয়েছেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস। শোনা যায় এই রামকৃষ্ণ নামটি নাকি তাঁর প্রথম দীক্ষাগুরু তোতাপুরীর দেওয়া। অন্যদিকে আবার কেউ কেউ বলে থাকেন রানি রাসমণির জামাই মথুরা মোহন বিশ্বাস ওরফে মথুর বাবু নাকি তাঁকে এই ‘রামকৃষ্ণ’ নামটি দিয়েছিলেন। শাক্ত উপাসক হলেও তিনি বৈষ্ণব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ধর্ম নয় নিজের জীবনবোধে অদ্বৈত ঈশ্বর সাধনার কথাই বলে গেছেন ভক্তদের ‘ঠাকুর’ । নিজে সেভাবে প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও তাঁর আধ্যাত্মিকতায় তাঁর অগাধ জ্ঞান, সচেতনতা, মতাদর্শ মানুষকে বরাবরই মুক্তির রাস্তা দেখিয়েছে।তাঁর বাণী ‘যত মত তত পথ ‘ যুগের গণ্ডি ছাড়িয়ে চিরকালীন। সেই বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়েই আজ শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৯০তম জন্মতিথিতে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–