ট্রাম (Tram) এখনও কলকাতার কাছে নস্টালজিয়া। তার গানে ট্রাম, কবিতায় ট্রাম, সিনেমায়-গল্পে-উপন্যাসে- ট্রাম ছাড়া কলকাতা (Kolkata) যেন অসম্পূর্ণ। ট্রাম থাকবে না উঠে যাবে? এই নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই ১৫২তম জন্মদিন পালন করতে চলেছে কলকাতা ট্রাম। আর সেই উপলক্ষ্যেই সোমবার সকাল ন’টা গড়িয়াহাট ডিপো থেকে একটি বিশেষ ট্রাম চালানো হয় যার গন্তব্য ছিল ধর্মতলা হয়ে শ্যামবাজার। সেখানে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ট্রামের জন্মদিন পালন।
১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম চালু করে ব্রিটিশরা। সেদিন শিয়ালদহ থেকে আর্মেনিয়ান ঘাট পর্যন্ত যায় ট্রাম। এরপর ১৯০২ সালের ২৭ মার্চ কলকাতায় ধর্মতলা-খিরিদপুর রুটে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম চলেছিল। শহরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তন ঘটেছে ট্রামেরও। ঘোড়ায় টানা কাঠের ট্রাম এখন হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাম।
২৪ ফেব্রুয়ারি ট্রামের ১৫২ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকাল ন’টায় গড়িয়াহাট ডিপো থেকে ৪৯৮ নম্বর ট্রাম ছাড়ে। বহু স্মৃতি বিজরিত এই কাঠের ট্রামটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি হয়েছিল। তারপর ৪৯৮ নম্বর ট্রাম বহু বছর পরিষেবা দিয়েছে। এটিকেই সুসজ্জিত করে গড়িয়াহাট থেকে প্রথমে এসপ্ল্যানেড ট্রাম ডিপো পর্যন্ত যাওয়া হয়। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন খুদে এবং ট্রামপ্রেমী ওই ট্রামে ওঠেন। এরপর শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোতে মূল অনুষ্ঠান। ট্রামপ্রেমী সংগঠন ক্যালকাটা ইউজার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে জানানো হয়েছে, সরকারের থেকে এই ট্রামটিকে ভাড়া নিয়ে তারা অনুষ্ঠান করছে। শ্যামবাজারে অনুষ্ঠান শেষে ফের এসপ্ল্যানেড হয়ে গড়িয়াহাটে শেষ হবে ট্রামযাত্রা। ট্রামের জন্মদিনে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে শ্যামবাজারে।
প্রায় অবলুপ্তির পথে ট্রাম। দুটি মাত্র রুটে চলে। ভবিষ্যৎ ঝুলে আদালতে। রাজ্য সরকারও ট্রাম চালানোর বিষয়ে আগ্রহী নয়, রেখে দিতে চায় জয় রাইড হিসেবে। ফলে আগামী আবার ট্রামের জন্মদিন পালন করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–





























































































































