ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি ভারতের কাছে আশীর্বাদ না অভিশাপ?

0
2

মোদির মার্কিন সফরে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের কিছু আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরব হয়েছিলেন ‘পারস্পরিক শুল্ক’ ইস্যুতে। তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প লেখেন,’ ‘তিনটি দুর্দান্ত সপ্তাহ কাটল। বোধহয় এই সপ্তাহ তিনটি সর্বকালের সেরা। কিন্তু আজ বড় একটা দিন। পারস্পরিক শুল্ক আরোপ! মেক আমেরিকা গ্রেট গেইন।’ এই ঘোষণার কিছু পরই ছিল মোদির সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্ধারিত সাক্ষাৎ।

আমেরিকা সফরের মাঝে, মোদির কাছে ট্রাম্পের ঘোষিত এই পারম্পরিক শুক্লের খবর খুব একটা স্বস্তির নয়। প্রশ্ন হল, কী এই পারস্পরিক শুল্ক? ট্রাম্পের দাবি, বিশ্ব বাণিজ্যের আঙিনা, মার্কিন বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি যাতে অন্য দেশের সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লড়তে পারে, তার জন্যই তার প্রশাসন এই শুল্ক চাপাচ্ছে। অর্থাৎ যে দেশগুলি আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপরে চড়া হারে শুল্ক ধার্য করে থাকে, তাদের থেকে রফতানিকৃত সামগ্রীর উপরে পালটা চড়া শুল্ক চাপাবে আমেরিকা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের আগে রীতিমতো বোমা ফাটান সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার ‘পারস্পরিক শুল্ক’ সংক্রান্ত হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরেই হু হু করে নামে ভারতের শেয়ার বাজারের সূচক।

ট্রাম্পের এই পরিকল্পনায় ক্ষতবিক্ষত হতে পারে ভারতের অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই স্টক সূচকের রক্তক্ষরণে মিলেছে তার প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। নিফটি নেমেছিল ১০০ পয়েন্ট। এ ছাড়া ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এ দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।