অপূরণীয় ক্ষতি! প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর

0
4

সঙ্গীতজগতে নক্ষত্র পতন। দৃপ্ত স্লোগানে মনের কথা প্রকাশ থামালেন প্রতুল মুখোপাধ্যায় (Pratul Mukhopadhyay)। তাঁর প্রয়াণে একদিকে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগত। অন্যদিকে তাঁর প্রয়াণ ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও (C V Ananda Bose) সঙ্গীতশিল্পীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, কয়েকদিন আগেই হাসপাতালে গিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছিলাম। প্রতুলদার (Pratul Mukhopadhyay) মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। যতদিন বাংলা গান থাকবে, ‘আমি বাংলায় গান গাই’ বাঙালির মুখে মুখে ফিরবে।

সেই সঙ্গে যে সম্মান বর্তমান রাজ্য সরকার প্রয়াত শিল্পীকে দিয়েছে, তার উল্লেখ করে তিনি জানান, আমি গর্বিত, এমন গুণী মানুষকে আমাদের সরকার তাঁর যোগ্য সম্মাননা জানাতে পেরেছিল। রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘বঙ্গবিভূষণ’ থেকে শুরু করে ‘সঙ্গীত সম্মান’, ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’, ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ সবই তিনি পেয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও অগণিত গুণগ্রাহীর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও (C V Ananda Bose)। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, প্রখ্যাত বাংলা গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমরা শোকাহত, যিনি তাঁর বিখ্যাত উপস্থাপনা ‘আমি বাংলায় গান গাই’ ও ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ গানদুটির মধ্যে দিয়ে পরিচিত ছিলেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁর অবদান আজীবন আমাদের কানে অনুরণিত হবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।

এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) তাঁর প্রয়াণের পরই হাসপাতালে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও সাংসদ দোলা সেন। অরূপ বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পরে শনিবার তাঁর প্রয়াণ হয়। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিনিয়ত তাঁর শরীরের খোঁজখবর নিয়েছেন। রবীন্দ্র সদনে (Rabindra Sadan) তাঁর নশ্বর দেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো যাবে বিকাল ৪টে পর্যন্ত। এরপর তাঁর দেহ আবার এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হবে, যেহেতু তাঁর দেহ ও চোখ দুটিই এসএসকেএম হাসপাতালে দান করা রয়েছে।

তবে ক্যান্সার-জনিত রোগের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান, এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ম্যালিগন্যান্সি রেক্টাম ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর একাধিক অঙ্গে প্রভাব পড়তে থাকে। সেই কারণেই তিনি সিসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন।