গিরিশ পার্কে বাংলা পক্ষের(bangla pakhkha) তরফে রবিবার মাছ ভাত উৎসব হল।এদিন প্রচুর মাছ নিয়ে আসা হয় এই উপলক্ষ্যে। সেগুলো এখানেই কাটা হয়েছে এবং রান্নার আয়োজন করা হয়েছে। কী ছিল না সেই তালিকায়। রুই, কাতলা, ভোলা, পাবদা থেকে শুরু করে ছিল শুঁটকি মাছও। মাছ ভাত উৎসবের এই এলাহি আয়োজনে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ করে কেন এমন একটি উৎসবের আয়োজন। সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল বাংলা পক্ষের কর্ণধার গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তিনি এদিন স্পষ্ট বলেন, বহিরাগতরা ক্ষমতায় এলে বাঙালির খাওয়া-দাওয়ার উপর নানা বাধা-নিষেধ নেমে আসবে, এচা আমরা মানি না। বাংলার মাটিতে মাছ কাটা হচ্ছে এটা বলতে পারাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আসলে বাঙালি দেখেইনি বড়বাজারে মাছ কাটা হচ্ছে। বড়বাজার( barobazar) আজ বাঙালি শূন্য। বিজেপির কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত বলেছেন, প্রকাশ্যে মাছ কাটা হচ্ছে। মাছের গন্থে গা ঘিন ঘিন করে ওঠে। আমরা আজকের উৎসবের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাই, এটা আমাদের বাংলা। এখানে মাছ কাটা হবে, মাছ খাওয়া হবে।গা ঘিন ঘিন করলে আসতে পারেন।
তার অভিযোগ, বিহার-গুজরাট-রাজস্থান বা অন্য কোনও রাজ্যে বাঙালিরা যদি গিয়ে সেখানকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কোনও মন্তব্য করে, তাহলে তাদের বিপাকে পড়তে হয়। অথচ এখানে অবলীলায় বাঙালিকে অপমান করা হচ্ছে। তারা আরও অভিযোগ, এমন কিছু স্কুল আছে যেখানে আমিষ খাবার আনতে দেওয়াই হয় না। এই জাতিবিদ্বেষ বাংলার মাটিতে আমরা চলতে দেবো না। এটা বেআইনি, এটা সংবিধান বিরোধী। এটা কিছুতেই আমরা মেনে নেব না। তাই আজকের এই মাছ ভাত উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বাঙালিরা এসেছেন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































