কৃষিজীবীদের ফের ঠকালো কেন্দ্র। প্রতিশ্রুতিপুরণ তো দূরের কথা, নূন্যতম মানবিকতাও দেখানো হল না তাঁদের প্রতি। শনিবারের কেন্দ্রীয় বাজেট কৃষকদের মনে আরও বাড়িয়ে দিল বঞ্চনার জ্বালা। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে বরাবরই ছেলেখেলা করেছে মোদি সরকার৷ কোনওদিনই দেশের অন্নদাতাদের আবেগকে মূল্য দেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো হয়নি৷
শনিবার সংসদে পেশ করা সাধারণ বাজেটে বিজেপি এবং মোদি সরকারের এই ঔদাসীন্ন এবং উপেক্ষার নীতি ফের প্রতিফলিত হল৷ এদিন কৃষকদের মূল সমস্যা উত্পাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি সুনিশ্চিত করা বা তাঁদের ঋণমুক্তির জন্য কোনও দিশা দেখাননি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ আয় দ্বিগুণ করা নিয়েও নীরব মোদি সরকার৷ উল্টে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে৷ কৃষক সংগঠনগুলি মোদি সরকারের এই ভাঁওতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ তাদের সাফ কথা, আরও একবার নরেন্দ্র মোদি প্রমাণ করলেন যে তিনি অতীতের মত আজও কৃষকবিরোধী৷
কৃষকদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে প্রবীণ কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা বললেন, মোদি সরকারের তরফে এদিন কৃষকদের সমস্যামুক্তির কোনও কথা বলা হয়নি৷ এমএসপি নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী৷ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের লিমিট বাড়িয়ে কৃষকদের কোনও লাভ হবে না। তাঁদের ঋণমুক্তিও হবে না৷ কৃষকদের আসল সমস্যা হল উত্পাদিত ফসলের নূন্যতম সহায়ক দাম৷ সঠিক দাম না পাওয়ার কারণেই কৃষকরা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন, ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন৷ গত ৫০ বছর ধরে একই ঘটনা ঘটেছে৷
আরও পড়ুন- সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর! পথশ্রী প্রকল্পে ১২ হাজার কিমি রাস্তা নির্মাণ করবে রাজ্য
_
_
_
_
_
_
_
_