বঞ্চিত বাংলা, ভোটমুখী বাজেটে লাভবান বিহার: তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ অভিষেকের

0
3

নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারকে উজাড় করে দিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ঝুলি শূন্য। এই পরিস্থিতিতে বাজট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বাংলা থেকে যাওয়া বিজেপি সাংসদদেরও কটাক্ষ করেন তিনি।
আরও খবর: মধ্যবিত্তের মন জয়ে আপতত আয়কর কমিয়ে জটিল অঙ্কে ফাঁসালো কেন্দ্র

শনিবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman) বাজেট পেশের পরেই অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। লোকসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বাজেট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। বলেন, “যখন বাংলা থেকে ১৮ জন বিজেপি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখনও বাংলা কিছুই পায়নি। আজও বাংলার ১২ জন বিজেপি সাংসদ রয়েছেন, কিন্তু তাও বাংলা কিছুই পেল না। এই ১২ জন সাংসদ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করবে না। বাংলা বরাবর বঞ্চিত হয়েছে, আজও তার পুনরাবৃত্তি ঘটল।“

এর পরেই মোদি সরকারের বিহার-প্রীতি নিয়ে খোঁচা দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, বিজেপি সরকার ভোটের কথা মাথায় রেখে বাজেট করে। শুধুমাত্র বিহারে (Bihar) এই বছর নভেম্বরে নির্বাচন রয়েছে বলেই বিহারের জন্য সবকিছু করা হয়েছে। ওরা সব কিছু ভোটের কথা মাথায় রেখে করে, সাধারণ মানুষের জন্য নয়। তাঁর কথায়, আগের বাজেটেও সব সুবিধা দেওয়া হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারকে। এখন অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, তাই ওরা বিহারের দিকে মন দিয়েছে।

বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা তুলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “বিজেপি সরকার আসার পর থেকে বাংলা কিছুই পায়নি। এবারের বাজেটেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।“

আয়কর ছাড় প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, “পুরো বাজেট আমি এখনও পড়িনি। আয়কর ছাড়ের বিষয়ে এখনও স্পষ্টতা নেই। তাই আগে সম্পূর্ণ বাজেট পড়তে হবে, তারপর আমি যা বলার বলব।“

এরপরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, “এনডিএ সরকার আবারও জনগণের স্বার্থ অবজ্ঞা করে এমন একটি বাজেট পেশ করল যা কেবলমাত্র রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধাকেই প্রাধান্য দেওয়া হল। এটি জনগণকেন্দ্রিক বাজেট নয়- এটি বিজেপির একটি নির্বাচনী ‘স্টান্ট’ যা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে এবং নিজের স্বার্থের মানুষদের খুশি করতে তৈরি করা হয়েছে। বাংলার জন্য এই বাজেট একটি অর্থনৈতিক বিশ্বাসঘাতকতা থেকে কম কিছু নয়। রাজ্যের জন্য যুক্তিপূর্ণ আর্থিক বরাদ্দ করা হয়নি। অবশ্যই এটি বাংলার বৃদ্ধি ও উন্নয়নকে দমিয়ে রাখার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা ও একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ ৷ বাংলা থেকে বিজেপির ১২ জন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও, এই বঞ্চনার বিষয়ে তাদের নীরবতা এই অন্যায়ের সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে।“

অভিষেক আরও লেখেন, “এর থেকে একটাই জোরালো বার্তা স্পষ্ট: এনডিএ সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে না – তারা শুধুমাত্র ক্ষমতার কথা চিন্তা করে। এই বাংলা- বিরোধী বাজেট বুঝিয়ে  দিচ্ছে বিজেপির জন্য বাংলা একটি রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দান ছাড়া আর কিছুই নয়। ন্যায্য পাওনা পাওয়ার যোগ্য রাজ্য বাংলা নয়। বাংলার মানুষ ভুলবে না। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।“