আরজি করে আর্থিককাণ্ডের বিচারে ‘সিস্টেমেটিক ডিলে’, ক্ষুব্ধ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ

0
2

আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি নিম্ন আদালতকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট( kolkata high court)। ৭ দিনের মধ্যে ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ পরিমার্জন করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ওই মামলায় ইতিমধ্যে একটি লিখিত আবেদন করেছেন সন্দীপ এবং অন্য অভিযুক্ত আশিস পাণ্ডে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন তাদের আইনজীবী।

তাদের বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে সিবিআই ৩ দিনের মধ্যে চার্জ ফ্রেম করতে চাইছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। তাই হাইকোর্টের আগের দেওয়া রায় পরিমার্জনের আবেদন করেন তারা। শুক্রবার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অবশ্য বিশেষ আমল দেননি। তিনি অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকে নোটিশ পাঠিয়ে ফের আবেদন করার পরামর্শ দেন।

পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আরও পরামর্শ দেন, নিম্ন আদালতে গিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য। পাশাপাশি কেন ৭ দিনের মধ্যে বিচার শুরুর নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন, তাও ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি।বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বিচারে সিস্টেমেটিক ডিলে (পদ্ধতিগত দেরি) হচ্ছে। তা কে করছে, কেন করছে, সেই দিকে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু গত নভেম্বরে চার্জশিট দেওয়ার পরেও ট্রায়ালে দেরি হচ্ছে তা লক্ষ্য করেছি।’

আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ( Sandip Ghosh)। দীর্ঘ টালবাহানার পর তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি (এনওসি) স্বাস্থ্যভবন থেকে মেলার কথা আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল আদালতে। তারপরই গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।আদালতের বেধে দেওয়া এই সময়সীমা বাড়ানো ও দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ ঘোষ।

শুক্রবার আদালতে তার আইনজীবী দাবি করেন, তিনদিনের মধ্যে সিবিআই চার্জ গঠন করতে চাইছে। সিবিআই এতদিন তাদের কোনও নথি দেয়নি। বিশেষ আদালতের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তা দিচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার পাতার নথি তিন দিনের মধ্যে পড়া সম্ভব নয়।সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাদের চার্জ গঠনের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দেন।

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, অনেক দেরিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে কীভাবে এত পাতা পড়া সম্ভব সেটা আপনারা দেখুন। আমি কিছু শুনব না। নভেম্বরে অনুমতি মিললে এই সমস্যায় আপনাদের পড়তে হত না।