২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলা: বিকাশের বিরোধিতায় সরব SFI!

0
3

পুরো প্যানেল বাতিল করতে প্রবল উৎসাহী সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikashranjan Bhattacharya)। ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় এই নিয়ে সওয়াল করনে তিনি। এবার তাঁর বিরোধিতায় CPIM-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই। যেখানে সোমবার যোগ্য-অযোগ্য বাছাই অসম্ভব বলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য সেখানে মঙ্গলবার, সাংবাদিক বৈঠকে SFI-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব।

দেবাঞ্জন দে বলেন, বিকাশবাবু একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। উনি আইনজীবীর জায়গা থেকে ওঁর যা মনোভাব তা রেখেছেন। আমাদের এটাই মনোভাব, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে হবে। এই আলাদা করার দায় সরকারকে নিতে বলেও মন্তব্য করা হয়।

এসএফআই-এর মতে, কারা অযোগ্য সেই লিস্ট করার প্রক্রিয়া তদন্তে কিছুটা অগ্রসর হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াটা কেন থেমে গেল? প্রশ্ন তোলেন দেবাঞ্জন। তাঁর কথায়, “আমাদের পরিষ্কার স্ট্যান্ড, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে হবে। যদি রি-এগজামিন করতে হয় তাহলে অযোগ্য মনে করা হয়েছে যাঁদের, যাঁদের অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের রি-এক্সামিন কর। যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছেন তাঁরা কেন রি-এক্সামিনড হবেন?“

তবে, দলের ছাত্র সংগঠনের দাবিতে উড়িয়ে নিজের অবস্থানে অনড় বর্ষীয়ান আইনজীবী। বলেন, “এসএফআইয়ের সিদ্ধান্ত। ওরা ওদের মতো করে করেছে। কলকাতা হাই কোর্ট প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। আজ হাইকোর্টের রায়কেই অন্য পক্ষ আবেদন করেছে, তার বিরুদ্ধে আমাকে হাইকোর্টের রায়ের পক্ষেই সওয়াল করতে হবে। দুর্নীতি যদি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়, সেখানে ভালো-মন্দ বাছাই করা যায় না। এটাই আমার বক্তব্য ছিল। এসএফআই কী বলছে, এবিটিএ কী বলছে এটা কোনও বিচার্য্য বিষয় নয়। আমি নৈতিকভাবে মনে করি, দুর্নীতিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যা সৃষ্টি হয়েছে তা বাতিল হয়ে যাওয়া উচিত। আইনগত দিক থেকে তো বটেই। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হলে সেখানে কোনও রকম ক্ষমার জায়গা নেই। সুপ্রিম কোর্টের জাজমেন্টও আছে। লড়াইটা মূলত হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাহলে কি কিছু সুবিধা পেলে আমাকে দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করতে হবে? সেই নীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। এটা কে ঠিক করবে যে সঠিক পদ্ধতি মেনে পেয়েছেন? নির্ণয়ের মানটা কী হবে? এমনও দেখা গেছে, পরীক্ষা না দিয়ে পেয়েছেন। এরকম আরও কত লুকিয়ে আছে কে জানে!”

এখন প্রশ্ন উঠছে SFI সেখানে পরিস্থিতি বুঝে চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের হয়ে কথা বলতে চাইছেন, তখন কী কারণে তার বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটছেন বিকাশরঞ্জন (Bikashranjan Bhattacharya) ? নিজের দলের যুব প্রজন্মের মানসিকতাই তিনি বুঝতে পারছেন না তিনি! তাহলে বিকাশের দল বাংলার মানুষের চাহিদা বুঝবে কী করে! তরুণ প্রজন্ম যেটা বুঝতে পারছে, সেটা তাঁর মনো প্রবীণ রাজনীতিবিদ বুঝতে পারছেন না! প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।