বিচারপতির খেয়ালখুশিতে জামিন না মঞ্জুর! এলাহাবাদ হাইকোর্টকে কটাক্ষ সুপ্রিম কোর্টের

0
4

বিচারপতি নিজের ইচ্ছা বা পছন্দের উপর নির্ভর করে জামিন না মঞ্জুর করবেন, এমনটা চলতে পারে না। এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) ধর্মান্তকরণের একটি মামলায় অভিযুক্তকে জামিন না দেওয়ায় কড়া বার্তা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ধর্মান্তকরণ গুরুতর অপরাধ – পর্যবেক্ষণে জামিন না মঞ্জুরের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চের কড়া পর্যবেক্ষণ। উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় ইস্যুতে যতটা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত হয়, ততটা গুরুত্ব যে ধর্ষণ-খুন বা ডাকাতির মতো ঘটনায় দেওয়া হয় না, কার্যত শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনায় তা প্রমাণিত।

এক শিশুকে বেআইনি ধর্মান্তকরণের (illegal conversion) একটি মামলায় অভিযুক্তকে নিম্ন আদালত জামিন না দেওয়ার সে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানে বিচারপতি (Judge) পর্যবেক্ষণে বেআইনি ধর্মান্তকরণকে গুরুতর অপরাধ চিহ্নিত করে জামিন না মঞ্জুর (not granting bail) করে। এরপরই সেই অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ১১ মাস বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কাটিয়েছে। মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের অপরাধ ধর্ষণ, খুন বা ডাকাতির মতো গুরুতর নয়। সেই কারণেই এই জামিন (bail) মামলা সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত আসাই উচিত নয়।

সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের কড়া বার্তা, আন্দাজ করা যায় নিম্ন আদালতগুলির অনেক সময়ই সেই সাহস থাকে না যে এই ধরনের মামলায় জামিন মঞ্জুর করবে। কিন্তু হাইকোর্টও নিজেদের সাহস ও বিচক্ষণতা (discretion) দেখাতে পারবে না জামিন মঞ্জুর করার জন্য, এটা প্রত্যাশা করা যায় না।

এলাহাবাদ হাইকোর্টে বেআইনি ধর্মান্তকরণের এই মামলায় বিচারপতির মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, জামিন দিতে অবশ্যই বিচক্ষণতা প্রয়োজন। সেই বিচক্ষণতা (discretion) আইনি পথে হতে হবে। কখনই সেই বিচক্ষণতা বিচারপতির ব্যক্তিগত খেয়ালখুশি (whim) বা ইচ্ছামতো হতে পারে। জামিনের আবেদনকারী এরপরেও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবেন। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তিও হবে। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের আক্ষেপ নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টগুলির এরকম মানসিকতার জন্যই সুপ্রিম কোর্টে জামিন মামলা উপচে পড়ে।