অবশেষে রঞ্জিট্রফিতে রানের খাতা খোলেন শুভমন গিল। পাঞ্জাব-কর্নাটক ম্যাচে শতরান করেন তিনি। কর্নাটকের বিরুদ্ধে ১০২ রানের ইনিংস খেলেন পাঞ্জাবের এই ব্যাটার। আর শতরান করেই লাল বলে তাঁর সমস্যার কথা তুলে ধরলেন গিল।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ঘোরোয়া ক্রিকেটে খেলার আদেশ দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই মত রঞ্জিতে খেলতে নামেন রোহিত শর্মা, ঋষভ পন্থ, যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিলরা। সেখানেও যখন ব্যাট হাতে ব্যর্থ রোহিত-যশস্বী-পন্থরা। তখন ব্যাট হাতে সফল গিল। কর্নাটকের বিরুদ্ধে করলেন ১০২ রান । আর এরপরই লাল বলে কোথায় সমস্যা হচ্ছিল গিলের, তা তুলে ধরলেন শুভমন।
গিল বলেন, “ লাল বলের বিরুদ্ধে আমার ব্যাটিং ভাল হচ্ছিল না। উদ্বেগের হয়ে যাচ্ছিল। অনেক সময়ই ২৫-৩০ রান ভাল ভাবে করলেও বড় রান করতে পারছিলাম না। ভাল শুরু করার পর একটু বেশি চাপ নিয়ে ফেলছিলাম। বড় রান করতে হবে, এই ভাবনাটা চলে আসছিল। সেটাই চাপ তৈরি করছিল আমার উপর। একটা অন্য রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। মানসিক চাপ পড়ছিল। চাপের জন্যই ভাল শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারছিলাম না। পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। এ বার বড় রান করতে হবে। এই জাতীয় ভাবনাই সমস্যা করছিল।“
এখানেই না থেমে গিল আরও বলেন,” এই ইনিংসটা আমাকে বেশ স্বস্তি দিচ্ছে। যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি খুশি। প্রথম ১৩০ বলে ৪০ রানের মতো করেছিলাম। কর্নাটক বেশ ভাল বল করছিল। পিচ থেকেও সাহায্য পাচ্ছিল বোলারেরা। সব কিছু মিলিয়ে এই ইনিংসটা খেলে ভাল লাগছে। মধ্যাহ্নভোজের পর নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলার চেষ্টা করেছি। শট খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। উইকেটের অন্য প্রান্তে উইকেট পড়লেও মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেছি। উইকেটে থাকার চেষ্টা করেছি। যে কোনও স্তরের ক্রিকেটেই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। অনুশীলন ছাড়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। পরের সিরিজের আগে অনেক সময় রয়েছে। তাই এই ম্যাচটা খেলার কথা ভেবেছিলাম। ম্যাচটা আমাকে সাহায্যই করেছে।“
আরও পড়ুন- ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোন রহস্যে সফল তিলক ? ফাঁস করলেন নিজেই
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































