হরিদেবপুরে মহিলা খুনে নয়া মোড়। পরিচয় গোপন করে অন্য নামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। মলিনা দাস নামে হরিদেবপুর (Haridevpur) থানা এলাকার ডায়মন্ড পার্কে ঘর ভাড়া নেওয়া ওই মহিলার আসল নাম ছায়া সর্দার। স্বামীর পরিচয় নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। জাল আধার দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। খুনের পর থেকেই উধাও মহিলার স্বামী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিও।
বৃহস্পতিবার, হরিদেবপুরের (Haridevpur) ডায়মন্ড পার্কের একটি ভাড়াবাড়ি থেকে মলিনা দাস নামে ওই মহিলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়। হাত পা বাঁধা, গলার নলি কাটা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। বুধবারই ওই ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন এই মহিলা। পরের দিন ভাড়া চাইতে রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান বাড়িওয়ালা। তাঁর দাবি, স্বামী-স্ত্রী পরিচয় নিয়ে এক পুরুষসঙ্গী নিয়ে এসেছিলেন ওই মহিলা। স্বামীর নাম কার্তিক বলে জানিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যে আধারকার্ড (Aadhar Card) ওই মহিলা দিয়েছিলেন সেটি জাল। মহিলার আসল নাম ছায়া সর্দার। কেন মিথ্যে পরিচয় দিয়ে তাঁরা ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে।
এদিকে মৃতের মা জানান, ১৪ বছর আগে কার্তিকের সঙ্গে ছায়ার বিয়ে হয়। তিন সন্তান রয়েছে তাঁদের। কিন্তু জামাই খুব মারধর করতে বলে তিন সন্তানকে নিয়ে শীলপাড়া জেমস লং সরণি এলাকায় তাঁর কাছে ফিরে আসেন ছায়া। গত নয় মাস ধরে সেখানেই থাকছিলেন। আয়া সেন্টারে কাজ করতেন। সোমবার কাজে যান। তারপর আর ফেরেননি। থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার মৃত্যুর খবর পান তিনি।
ছায়ার মায়ের কথায়, আয়া সেন্টারে কাজের সূত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাঁর মেয়ের। তিনিই ছায়াকে ওই ভাড়াবাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন কি না দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতার স্বামীরও খোঁজ করছে পুলিশ (Police)। খুনের পিছনে তাঁর যোগ রয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে।
–
–
–
–
–
–
–