ডায়মন্ড হারবারে চলছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) উদ্যোগে সেবাশ্রয় (Sebaashray)। আর সেই সেবাশ্রয়ের হাত ধরেই হয়েছে ৯ বছরের আলতাফ হোসেন ঘরামির ওপেন হার্ট সার্জারি। সফল অস্ত্রোপচারের পরে শুক্রবার তাকে দেখতে গেলেন স্বয়ং অভিষেক। নিজের এক্স সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অভিষেক লিখলেন আলতাফের হাসিই তাঁর সংকল্পে স্থির থাকার রসদ।
সম্প্রতি বাবার সঙ্গে সেবাশ্রয়ে যায় আলতাফ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টের (X-Handle Post) সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিষেক। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আলতাফের বাবা জানাচ্ছেন, তাঁর ছেলে একটুও হাঁটতে পারে না। সামান্য হাঁটলেই বা দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়ে। ‘সেবাশ্রয়’-এ ধরা পড়ে তার হার্টের সমস্যা। রিপোর্ট দেখে শিবিরের চিকিৎসকরা আলতাফকে ডায়মন্ড হারবারের এসডিও গ্রাউন্ডের মডেল ক্যাম্পে উন্নত পর্যালোচনার জন্য পাঠান। জানা যায় বালকটির সায়ানোটিক হার্ট ডিজিজ রয়েছে। দ্রুত বিষয়টি জানানো হয় ডায়মন্ড হারাবারের সাংসাদকে।
জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে আলতাফের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করে দেন অভিষেক। ১২ ঘণ্টার ওপেন-হার্ট সার্জারির পরে এখন স্থিতিশীল ৯ বছরের আলতাফ। এদিন তাকে দেখতে যান অভিষেক। তার পরে সোশ্যাল মিডিয়া লেখেন,
“একজন বাবা হিসাবে, এক গুরুতর অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে বাবা-মায়ের লড়াইটা আমি অনুভব করি। সেই কারণে ৯ বছর বয়সী আলতাফ হোসেন ঘরামির পরিস্থিতি আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। #Sebaashray ক্যাম্পে পরীক্ষার সময় তার হৃদপিন্ডে জন্মগত অসঙ্গতিতে ধরা পড়ে এবং জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালে রেফার করা হয়। তার অবস্থা তখন থেকেই আমার মনে আছে।
আজ আমি আলতাফের উজ্জ্বল হাসি দেখে স্বস্তি পেয়েছি এবং তার সেরে ওঠার সাক্ষী হয়েছি। অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তারদের একটি দলের চেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।”
এরপর তৃণমূল সাংসদ লেখেন, #Sebaashray- মাধ্যমে হওয়া এই সাফল্যগুলিই তাঁকে এই মিশনে থাকার রসদ জোগায়। ভিডিওতে দেখা যায় আলতাফের সঙ্গে গল্প করছেন অভিষেক। তাকে বলছেন, সবার কথা শুনে চলতে। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, অস্ত্রোপচারের পরে এদিন সাংসদকে দেখেই প্রথম হেসেছে ৯ বছরের বালক।
–
–
–
–
–
–