ত্রিস্তর নিরাপত্তায় প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ, উৎসাহী ভিড়ের প্রশ্ন কী সাজা

0
3

গোটা রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশ তাকিয়ে সোমবারের শিয়ালদহ আদালতের (Sealdah Court) রায়ের দিকে। একদিকে সামাজিকভাবে, অন্যদিকে আইনিভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মামলা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার মানুষ আর জি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচারের দাবি জানিয়েছে। দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেও সোমবার সাজা কী হবে তা নিয়ে রয়েছে উৎকণ্ঠা। ফলে কোনও রকমভাবে কোনও অপ্রীতিকর অবস্থা ঠেকাতে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।

শনিবার দোষী সাব্যস্ত করার দিন শিয়ালদহ আদালতের বাইরে ছিল ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা (three tyre security)। এদিনও প্রায় একই রকম বেষ্টনী ছিল। তবে এদিন পুলিশ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (RAF) সংখ্যা আরও বেশি ছিল। কলকাতা পুলিশের ডিসি গৌরব শর্মা (Gaurav Sharma, DC, Kolkata Police) নিজে তদারকি করেছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুই ডেপুটি কমিশনার পুলিশ কর্তার পাশাপাশি চার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ কর্তা তদারকি করেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন হয় প্রায় ৫০০ পুলিশ কর্মী। সকালে দফায় দফায় মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের কাজের দায়িত্ব নিয়ে মিটিং করে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা, দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।

সোমবার সপ্তাহের প্রথমদিন এমনিতেই ভিড়ে ঠাসা শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah station) চত্বর। সেই সঙ্গে মানুষের উৎকণ্ঠা – সাজা কী হয় জানার জন্য। ফলে দফায় দফায় ভিড় জমতে শুরু করে শিয়ালদহ কোর্টের (Sealdah Court) বাইরে। ফাঁসির সাজার সম্ভাবনা বিচারক (Judge) অনির্বান দাস শোনালেও তাতে অনেক আইনি পথ রয়েছে। অন্যদিকে মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নজরদারিতে। সিবিআইয়ের তদন্ত এখনও চলছে। এরপরেও চার্জশিট পেশের পথ খোলা রয়েছে সিবিআই-এর (CBI) হাতে। তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যেই সব পথ পেরিয়ে ফাঁসির সাজা সঞ্জয় রাইকে শোনানো যাবে কি না, উত্তর মিলবে কিছুক্ষণেই।