আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু নিয়ে টানাপোড়েন রাজধানীতে, রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ আপের

0
2

কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা নিয়ে টানাপোড়েন রাজধানীতে। দিল্লিতে এই প্রকল্প চালু করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদরা। পাল্টা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে দিল্লির আপ সরকার। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আপ এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। দিল্লির বিজেপি সাংসদদের অভিযোগ, দিল্লির আপ সরকার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছে। যার কারণে তারা দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে।

দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আপ সরকার।দিল্লির আপ সরকারের বিরুদ্ধে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু না-করার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। অবশ্য আপ দাবি করে, তারা দিল্লিবাসীকে এমনিতেই বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয়। বিতর্কের জল গড়ায় হাই কোর্টে। সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্ট আপকে নির্দেশ দেয় যে, দিল্লিতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ৫ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে সমঝোতাপত্র বা মউ স্বাক্ষর করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় আপাতত এই বাধ্যবধকতা রইল না আপ সরকারের। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেল কেজরির দল।

আপ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন,  মামলাটি জনস্বার্থ হিসাবে করা হলেও এটি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলা দায়ের করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। যারা এই মুহূর্তে দিল্লিতে বিরোধী দলের আসনে রয়েছেন। নির্বাচনের আগে আমাদের সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই চক্রান্ত করা হচ্ছে। আদালতে আপ সরকার জানায়, কেন্দ্রের প্রকল্পটি চালু করলে দিল্লির মানুষের ক্ষতি হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য দিল্লি আরোগ্য কোষ প্রকল্প চালু রয়েছে। এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষ অধিক উপকৃত হচ্ছেন। কেন্দ্রের প্রকল্পটি রাজধানীর অল্প সংখ্যক মানুষকে সুবিধা দেবে। তাই আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করার প্রয়োজন নেই।উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের ভোটগ্রহণ। ভোটগণনা হবে – ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।