বাম আমলের পাপের বোঝা বইতে হচ্ছে তৃণমূল সরকারকে। বাম জমানায় সিপিএম নেতাদের মদতে জলাজমি বুজিয়ে অবৈধভাবে তৈরি আবাসন ভেঙে পড়ায় এখন পাপের ভাগিদার হতে হচ্ছে পুরসভাকে। বাঘাযতীনে ১৪ বছরের পুরনো বহুতল ভেঙে পড়া নিয়ে পূর্বতন বাম সরকারকে তোপ দাগলেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বুধবার এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, বাম আমল থেকে এই পাপের বোঝা আমরা বয়ে চলেছি! তখন কোনও বাড়ির ক্ষেত্রেই প্ল্যানিং হত না। অনলাইনে কিছু হত না। ফাইলে সব নথি জমা থাকত। আমরা আসার পর অনেক ফাইল তো খুঁজেই পাইনি! ওরা একটা ট্র্যাডিশন শুরু করে দিয়ে গিয়েছে। আমরা এখনও সেটা পুরোপুরি আটকাতে পারিনি।
বাঘাযতীনে সিপিএমের মাতব্বর নেতাদের কুকীর্তি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মহানাগরিক আরও বলেন, কলোনি এলাকায় কোনও বাড়ির প্ল্যান থাকে না। হাইকোর্টেও সেটা নিয়ে মামলা রয়েছে। ওরা একটা পাপ করে গিয়েছে। এখন আমরা প্রায়শ্চিত্তের জন্য সাধারণ মানুষকে তো ঘরছাড়া করে দিতে পারি না! সিপিএম যদি সেসময়ে রাজনীতি না করে আরও কড়া হত, তা হলে এই সমস্যা হত না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যাসাগর কলোনির ওই বহুতলের একতলা ভেঙে পড়ায় বাড়িটি একদিকে বিপজ্জনকভাবে হেলে যায়। রাত থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুরসভার কর্মীরা অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে খুব সাবধানে বাড়িটি সম্পূর্ণ ভাঙার কাজ শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এদিন সকালে দেখা যায়, বাড়িটি আরও বেশি করে হেলে গিয়েছে। ফলে আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই মেয়র আশপাশের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন, সিনিয়র ইঞ্জিনয়িারদের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে বাড়িটি পুরোটা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। আশপাশের লোকের যাতে অসুবিধা না হয়, সেটাও দেখতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যা এড়াতে সর্বত্র, বিশেষত কলোনি এলাকার বাড়ির প্ল্যানিং পুরসভার কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। জানিয়েছেন, আমরা বারবার বলেছি, পুরসভাকে বাড়ির প্ল্যান জমা দিন। যাতে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ন্যায্য দামে অনুমোদন দিতে পারি।
আরও পড়ুন- জেলমুক্ত জ্য়োতিপ্রিয়, তদন্তে অগ্রগতি নেই! কটাক্ষ তৃণমূলের
_
_
_
_
_
_
_




























































































































