ঘন ঘন সূর্যর দিকে তাকাচ্ছিলেন বনকর্মীরা। অপেক্ষায় ছিলেন সন্ধে নামার। তারপরেই শুরু হবে কাজ। কারণ, সারাদিন বাঘ গা এলিয়ে বসে থাকলেও সন্ধের পর গা ঝাড়া দিয়ে শুরু করে চলাফেরা। সেই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য কুলতলির মৈপীঠেও বনকর্মীরা শুরু করেছেন প্রস্তুতি। সুন্দরবনের ‘রাজা’কে তার এলাকায় ফেরানোর।
ছাগলের টোপে অবশেষে খাঁচাবন্দি মৈপিঠের বাঘ, আজই ফেরানো হবে জঙ্গলে সুন্দরবনের কুলতলির মৈপীঠে গত দু’দিন ধরে বাঘের আতঙ্ক তাড়া করছে এলাকাবাসীকে। খবর পেয়ে বন দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা এসে সুন্দরবনের একেবারে লাগোয়া ওই এলাকায় বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এরপরেই জঙ্গলের ধার ঘেঁষে গ্রামের চারপাশে জাল লাগিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। সেইসঙ্গে মাইকিং করে গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করার কাজ করে স্থানীয় পুলিশ।
রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মৈপীঠে ছড়িয়েছে বাঘের আতঙ্ক। গ্রামবাসীরা গঙ্গার ঘাট এলাকায় প্রথমে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। তার পরই খবর যায় বন দফতরে। বনকর্মীরা এসে বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করেন। তাঁদের দাবি, লোকালয় লাগোয়া জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করছে বাঘ। জঙ্গলের সেই ই ঘিরে ফেলা হয়েছিল নাইলনের জাল দিয়ে। শুধু তা-ই নয়, বাঘ ধরতে পাতা হয়েছে খাঁচাও।
–
–
–
–
–
–
–
–
–





























































































































