বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে শিক্ষাজগতের বাইরের লোক! প্রবল সমালোচনা ব্রাত্যর

0
3

শিক্ষায় বেসরকারিকরণ থেকে সিলেবাসে স্বেচ্ছাচারিতা বিজেপি আমলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে তলানির দিকে নিয়ে গিয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক ও তীব্র ধর্মীয় মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে বসিয়ে শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছে মোদি সরকার। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice-chancellor) পদে শিক্ষাজগতের বাইরের ব্যক্তিদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হল। আইনজীবীদের প্রতিষ্ঠানের শীর্ষে আইনজগতের বাইরের কেউ এলে তাকে কীভাবে মেনে নেবেন আইনজীবীরা, প্রশ্ন তুলে ইউজিসির (UGC) নীতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।

প্রশাসনিক পদে থাকা, নীতি নির্ধারণের দায়িত্বপ্রাপ্ত, শিল্পক্ষেত্র বা সরকার পোষিত ক্ষেত্র থেকে আসা ব্যক্তিদের যোগ্যতার ভিত্তিতে উপাচার্য পদে নিয়োগ করা যাবে বলে নির্দেশিকায় জানায় ইউজিসি (UGC)। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁদের অবদান থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। অন্তত দশ বছরের অভিজ্ঞতারও উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বর্তমান বিভিন্ন ক্ষেত্রের খামতি পূরণ করতে এই পরিবর্তনের পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যদিও এখনও এই পদক্ষেপ প্রয়োগ হয়নি বলেও দাবি, রাজ্যপালের।

যদিও রাজ্যের তরফ থেকে এই নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর কথায়, “আমি এই দৃষ্টিভঙ্গিকে একেবারেই সমর্থন করতে পারি না।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “রাজ্য বা কেন্দ্রীয় আদালতের বিচারক নির্বাচন যদি আইনজগতের বাইরে থেকে কেউ হন,তাহলে কি আইনজীবীরা মানবেন? মনে হয়, না। এক্ষেত্রেও উপাচার্য শিক্ষাজগতের অভিজ্ঞ কেউ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।”