জালিয়াতি রুখতে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নিয়ে এসবিআইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

0
5

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বহুক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না ব্যাঙ্কগুলি।এরই পাশাপাশি, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ, গ্রাহকরা নিজেরাও আরও বেশি সতর্ক থাকুন এবং ওটিপিগুলির ওপর নজর রাখুন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জালিয়াতি নিয়ে গ্রাহকের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে করা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে এই ধরনের জালিয়াতি এবং লেনদেন রোধে সর্বোত্তম প্রযুক্তি ব্যাঙ্কগুলিকে ব্যবহার করতে বলেছে এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছেন, জালিয়াতিপূর্ণ লেনদেন শনাক্ত ও প্রতিরোধ করার জন্য ব্যাঙ্কের কাছে বর্তমানের সেরা প্রযুক্তি রয়েছে। রয়েছে। তারা মনে করিয়ে দেন, ২০১৭ এর জুলাই মাসে RBI-এই সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছিল।প্রসঙ্গত, ডিভিশন বেঞ্চ গুয়াহাটি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এসবিআইয়ের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন। কারণ, গুয়াহাটি্ হাইকোর্ট এসবিআইকে প্রতারিত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেও ব্যাঙ্ক সেই নির্দেশ মানে নি।

জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এক গ্রাহকের অনলাইনে জিনিস কেনা নিয়ে। তার পছন্দ না হওয়ায় পরে তিনি সেই জিনিসটি ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ, খুচরা বিক্রেতার কাস্টমার কেয়ারের নাম করে একজন প্রতারকের কাছ থেকে তিনি একটি কল পান।সেই নির্দেশাবলী অনুসরণ করে, তিনি একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেন, যার ফলে মোট ৯৪ হাজার ২০৪টাকা অননুমোদিতভাবে ব্যাঙ্ক মারফত লেনদেন হয়েছে।এদিকে SBI গ্রাহকের দ্বারা OTP এবং M-PIN শেয়ার করার কারণে লেনদেনগুলি অনুমোদিত বলে দাবি করে দায় অস্বীকার করেছে৷

যদিও ওই গ্রাহক দাবি করেছেন যে তিনি কখনই ওটিপি বা এমপিআইনের মতো সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করেননি। তিনি দাবি করেছেন যে, খুচরা বিক্রেতার ওয়েবসাইটে ডেটা লঙ্ঘনের কারণে জালিয়াতি ঘটেছে, যার উপর তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। গুয়াহাটি হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এই লেনদেনের জন্য এসবিআইকে দায়ী করে, যা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও বহাল রাখে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসবিআই সুপ্রিমকোর্টের কাছে আবেদন করে।যেহেতু লেনদেনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবেদনকারী বিষয়টি ব্যাঙ্ককে জানিয়েছিলেন, তাই আদালত SBI-এর যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এভাবে ব্যাঙ্ক তার গ্রাহকের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।