মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পথ দেখাচ্ছেন দেশকে। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পেই চাঙ্গা হচ্ছে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি। সম্প্রতি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হাউজহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে গ্রামীণ ভারতের পণ্য ক্রয় বাড়তে শুরু করেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পগুলির সৌজন্যেই।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলির অনুসরণেই বিভিন্ন রাজ্যে জনমুখী পরিকল্পনা নিচ্ছে সেই রাজ্যের সরকার। সরকারি অনুদান প্রদানের প্রকল্পগুলির সৌজন্যে গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা সংসারে খরচের বাইরেও কিছু টাকা পণ্য কেনার জন্য সাশ্রয় করতে পারছে। ফলে গ্রামীণ ভারতে বেড়েছে ভোগ্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয়। রিপোর্ট বলছে, গ্রামীণ ভারতে বিগত বছরের তুলনায় সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয়। কেন্দ্রীয় সমীক্ষা মেনে নিয়েছে, দেশকে পথ দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, জনস্বার্থবাহী সরকারি অর্থসাহায্য প্রদানকারী রাজ্যগুলির তালিকায় সবার উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিজেপি যতই টিপ্পনি কাটুক, তাদের ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যকেও অনুসরণ করতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনাকে। লাডলি বহিনা যোজনা, মাহাতারি বন্ধন, লাডলি লক্ষ্মী, মাইয়া সম্মান যোজনা নামে অনুদান প্রদানের প্রকল্প আনা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। গরিব রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু করে ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি— কেউ বাদ নেই এই তালিকায়। সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঠিক, এবার সেই স্বীকৃতিতে সিলমোহর দিয়ে দিল কেন্দ্রের রিপোর্টই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই গ্রামীণ মানুষের কাছে অতিরিক্ত অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত খরচ করতে সক্ষম হচ্ছেন। বাজারে বাড়ছে টাকার জোগান। বৃদ্ধি পাচ্ছে পণ্য-চাহিদা। উৎপাদন ক্ষেত্রও চাঙ্গা হচ্ছে। পার ক্যাপিটা কনজামশন ভ্যালু নামক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, দেশে এক বছরে মাথাপিছু গড় ক্রয়ক্ষমতা ৩ হাজার ৮৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৪৭ টাকা। শহর এলাকায় বেড়েছে ১.১৭ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। এই বৃদ্ধির হার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ৫.৩৯ শতাংশ। ছত্রিশগড় ছাড়া অন্য রাজ্য এই তালিকায় পিছিয়ে। কর্নাটক রয়েছে তালিকায় তৃতীয়। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনও জানিয়েছে, সরাসরি সরকারের আর্থিক অনুদান প্রদানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন- ব্যস্ত রাস্তায় সরজেমিনে নজর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পথে পরিবহন মন্ত্রী
_
_
_
_
_
_
_
_
_