জনবসতি এলাকায় হাতির হানা আটকাতে রাজ্য সরকার তাদের চলাচলের পথ বা করিডোরের পাশের গ্রাম গুলিকে পরিখা দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা যেমন হাতির উপদ্রব থেকে অনেকখানি রেহাই পাবেন। একইভাবে চাষের ক্ষেত্রে ওই খালের জলও ব্যবহার করা যাবে। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে জঙ্গলমহলে হাতির উপদ্রব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে হাতির হানায় জীবন ও সম্পত্তি হানা রুখতে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে বন দফতরকে পরামর্শ দেন। এর পরেই তারা এব্যপারে উদ্যোগী হয়েছে।
বন দফতরের এক কর্তা বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে হাতি সহজে আর গ্রামে ঢুকতে পারবে না। কীভাবে এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করা যায়, তা দেখা হচ্ছে। রাজ্যের প্রতিটি দফতরের কাজের হাল হকিকৎ খতিয়ে দেখতে বছরের শুরুতেই বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে ক্লাসে পড়ার ধরার স্টাইলে রিপোর্ট কার্ড ধরে ধরে প্রতিটি দফতরের কাজের খতিয়ান খতিয়ে দেখেন তিনি। পরিবহণ, শিক্ষা-সহ একাধিক দফতরের মন্ত্রীদের ধমক দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিশও। ওই বৈঠকেই জঙ্গলমহলে হাতির উপদ্রব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “হাতির পাল বাড়ছে, জঙ্গল ছেড়ে ওরা গ্রামে ঢুকে যাচ্ছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে।” এরপরই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে হাতির প্রবেশ ঠেকাতে খাল কাটার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে সব স্কুলে ১১ দফা নির্দেশিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
_
_
_
_
_
_
_
_
_




























































































































