ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নকল করে প্রকল্প চালু করলেও, তা এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের মতো নানা প্রকল্প নকল হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। বিজেপিশাসিত ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুকরণ করে প্রকল্প তৈরি করেছে। কিন্তু অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়েছে সেইসব প্রকল্প। এমনকী কেন্দ্রের প্রকল্পও গতি হারিয়েছে। বারবার পিছিয়ে পড়েছে বাংলার সরকারের প্রকল্পের থেকে।
সম্প্রতি শিল্পের সমাধান শিবিরে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে ঋণ নিতে ৪০ হাজার শিল্পোদ্যোগী আবেদন করেছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্প বা ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের প্রকল্পগুলিতে কোনও সাড়া মিলছে না। বাংলার মতো তামিলনাড়ু সরকার যুবক-যুবতীদের ব্যবসা শুরু করার জন্য গত কয়েক বছর ধরে ‘নিউ এন্টারপ্রেনর কাম এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট স্কিম’ বা নিডস-সহ মোট পাঁচটি প্রকল্প চালু করেছে। সেই পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ২,৯৯৪ কোটি টাকার ঋণ প্রদান হয়েছে। কিন্তু ডাবল ইঞ্জিন ওড়িশা সরকার চলতি বছরের গোড়ায় ‘স্বতন্ত্র যুবা উদ্যমী’ প্রকল্প চালু করলেও, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ওড়িশায় পালাবদলের পর আর গতি পায়নি প্রকল্পটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা’র মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে তা সহজলভ্য নয়। নানা শর্ত রয়েছে ঋণদানের ক্ষেত্রে। কিন্তু বাংলার ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’-এ ঋণের ঊর্ধ্বসীমা পাঁচ লক্ষ হলেও তা পাওয়া যায় অতি সহজে। কোনও জামানত নেই, নেই কোনও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ শর্তও। আবার রয়েছে ভর্তুকিও। সেই কারণে শিল্পোদ্যোগীরা রাজ্যের ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে’ই আস্থা রাখছেন। একমাস ভর শিল্পের সমাধানে তাই ৪০ হাজার শিল্পোদ্যোগী আবেদন করেছেন। এর ফলে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দু’হাজার কোটি লগ্নির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ক্ষুদ্রশিল্পে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সাফল্যও উর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
আরও পড়ুন- শিল্পের সমাধানে শিবিরে অভূতপূর্ব সাড়া, ২০ মাসে নয়া রেকর্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের
–
—
–
—
–
—
–
—
–





























































































































