ফিরহাদের মন্তব্যের বিকৃতি! নতুন প্রজন্মের সংখ্যালঘুদের জন্য ফিরহাদের বার্তার ব্যাখ্যা কুণালের

0
3

বিরোধীদের বক্তব্য তুলে ধরে তার ভুল ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা করাটাই বিজেপি আমলের ট্রাডিশন। আর এবার তার শিকার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবসমাজের জন্য ফিরহাদ যে ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছিলেন তারই একটি বাক্যের অংশ তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই বিজেপির মিডিয়া সেলের(BJP media cell)। ঠিক কিভাবে বাংলার মন্ত্রীর উপর কালি লেপার প্রচেষ্টা করেছে বিজেপি, তারই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু (minority) মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবসমাজকে এগিয়ে আসার এবং দেশের জন্য বড় কিছু করার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি রাজ্যের মন্ত্রী ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ভারত দখলে উস্কিয়েছেন। বিজেপির অপপ্রচারের পর্দাফাঁস করে কুণালের দাবি, “ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বক্তব্য বিকৃত (distorted) প্রচার হয়েছে। তিনি সেই সময় মুসলিম ছেলে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রগতিতে জোর দেওয়ার কথা বলছিলেন। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সংখ্যালঘু, পিছিয়ে আছি এই দাবি তুললে চলবে না। শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে, এই প্রসঙ্গে বলছিলেন।”

ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যকে আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করতে হবে। আমলা হওয়ার প্রচেষ্টা করতে হবে। এইভাবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নতুন প্রজন্মের মুসলিম সমাজকে শিক্ষা, নিজের পায়ে দাঁড়ানো, নিজের পরিচিতির মাধ্যমে অধিকার তৈরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কিছু শব্দ বন্ধ ব্যবহার করেছিলেন যার বিকৃতি করা হয়েছে।”

বরাবর ধর্ম নিরপেক্ষতার নজির রাখা বাংলার মন্ত্রীকে দুর্নাম করে কার্যত বাংলাকে বদনাম করেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গেই কুণাল বলেন, ফিরহাদ হাকিম একজন ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষ। তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ তুলে ধরে তার বিকৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

সমাজের এক শ্রেণিকে এগিয়ে আনতে যেখানে বাংলার মন্ত্রী প্রচেষ্টা চালান, তা সহ্য করতে না পারা বিজেপির প্রসঙ্গে কুণাল যোগ করেন, ফিরহাদের বক্তব্য মুসলিম ছাত্র সমাজকে শুধুমাত্র সংখ্যালঘু পিছিয়ে পড়া হয়ে থাকলে হবে না। অগ্রসর হতে গেলে নিজেকে তার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এই কথা বলতে গিয়ে ফিরহাদ একটা কথা বলেছেন। তার জন্য তাঁর ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান চলে যায় না। শুধুমাত্র কোন একটি বক্তব্যের আগে পিছুকে নিয়ে এভাবে বিতর্ক হচ্ছে।