দেশের বড় শিল্প ধুঁকছে, মানুষের টাকা নেই! মানলেন RBI গভর্নর

0
2

দেশ বিদেশ সফর করে বেড়ানোর মোদির দেশের অর্থনীতিই (Indian Economy) ধুঁকছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের সব বড় শিল্পক্ষেত্র। সাধারণ মানুষের হাতে টাকা নেই। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখছে একমাত্র কৃষকরা ও গ্রামীণ অর্থনীতি। স্বীকার করে নিলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। বারবার মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতি নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা, বছর শেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।

অর্থনৈতিক রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে নিজেই হতাশ আরবিআই (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। রিপোর্টে তিনি জানান, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি (GDP) বৃদ্ধি মাত্র ৫.৪% যা প্রত্যাশার থেকে অনেকটা কম। আর এর মূল কারণ হিসাবে তিনি জানান শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি। মূলত ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে যে শিল্পগুলির নাম নেন তিনি তার মধ্যে রয়েছে লৌহ ও ইস্পাত, পেট্রোলিয়াম ও সিমেন্টের মতো বৃহৎ শিল্প।

এর পাশাপাশি কমেছে খনি থেকে উৎপাদনের মতো আয়ের ক্ষেত্র। সাধারণ মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক হারে কমার প্রভাবও পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে, দাবি আরবিআই গভর্নরের। পরোক্ষে এর থেকে উঠে আসছে ক্ষুদ্র শিল্প বন্ধ হওয়ার ইঙ্গিতও। যদিও অর্থমন্ত্রীর সমর্থনে এর পরেও সংসদে সওয়াল করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মন্ত্রীরা।

দেশের উৎপাদন ও শিল্প ক্ষেত্রে দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.১%তে। উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি না হওয়ার পিছনে গৃহস্থ মানুষের খরচ কমানোর প্রবণতাকেই দায়ী করেছেন আরবিআই গভর্নর। অর্থাৎ এর থেকেই স্পষ্ট সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রে। দেশে বাড়তে থাকা বেকারত্ব ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আদতে কোথায় দাঁড় করিয়েছে মোদি সরকারের জমানায় দেশের মানুষ ও অর্থনীতিকে, স্পষ্ট শক্তিকান্ত দাসের রিপোর্টে।

এই পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষকে আর্থিক স্বস্তি না দিতে পারলে যে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করা সম্ভব নয় তা বুঝতে পেরেই এবার রেপো রেট অপরিবর্তিত করার পথে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শুক্রবার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন আর্থিক বর্ষের শেষ চতুর্থাংশে অপরিবর্তিত থাকছে। শিল্পের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার সামিল। সেখানে বিদ্যুতের ব্যবহার হ্রাস হয়ে যাওয়ার অর্থও শিল্পের উৎপাদন কমা। তা সত্ত্বেও শক্তিকান্ত দাসের আশ্বাস শেষ চতুর্থাংশে ভারতের অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হবে। প্রসঙ্গত, এই চতুর্থাংশের শেষেই ফেব্রুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে বাজেট পেশ করতে হবে।