কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আদিবাসীরা (tribal)। খোদ রাষ্ট্রপতির (president) কন্ঠে শোনা গেল ক্ষোভের সুর। আদিবাসীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে সরব হলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তিনি বলেন, আদিবাসীদের উন্নয়নে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসা দরকার যৌথভাবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central Project) সুবিধা দেশের প্রান্তিক মানুষ তথা আদিবাসীদের কাছে পৌঁছচ্ছে না।
রাষ্ট্রপতি আক্ষেপের সুরে বলেন, আদিবাসীদের নিজস্ব জমি নেই, নেই বাড়িঘর। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) মতো নানা সরকারি প্রকল্প থাকলেও, তার সরাসরি সুবিধা পাচ্ছেন না আদিবাসী ও জনজাতির মানুষেরা। নিজস্ব জমি না থাকলে ওইসব প্রকল্পের সুবিধা মেলে না। সেই কারণেই আদিবাসী সমাজের একটা বড় অংশ এখনও জঙ্গলে বা পাহাড়ী এলাকায় বাস করেন। এজন্য যেমন রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি কেন্দ্র কেউ এগিয়ে আসতে হবে সহায়তায়। আদিবাসীদের নামে নিজস্ব জমি নথিভুক্ত করতে রাজ্য সরকারগুলিকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। কেন্দ্রের উচিত আদিবাসীদের স্বার্থ আরও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আমি নিজে আদিবাসী। তাই এই সমাজের মানসিকতা বুঝতে পারি। আদিবাসীদের অভাব-অভিযোগ, সমস্যা, শিক্ষা ব্যবস্থাও বুঝি। কেন্দ্র সরকার আদিবাসীদের মূলস্রোতে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বা পরিষেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত থাকছেন আদিবাসীরা। পিছিয়ে পড়া মানুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ওরা উন্নতি করতে চাইছে। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে সে অর্থে উন্নয়নের দিশা তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। উত্তরাখণ্ডের রাজভবনে আদিবাসীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাষ্ট্রপতি বলেন, জমির সমস্যাটা সর্বত্র। সব রাজ্যই সীমা বেঁধে দিয়েছে। রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব, এই সমস্যা দূর করতে ভূমিহীন আদিবাসীদের দ্রুত জমির ব্যবস্থা করতে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাবে না। বাস করতে হবে পাহাড় জঙ্গলেই। সমাজের মূলস্রোত থেকে তাঁরা দূরে রয়ে যাবেন।