এই প্রথমবার সাংসদ হিসাবে সংসদে পা রাখলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।কেরলের ওয়েনাড় থেকে নিজের দাদা রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে সা্ংসদ হলেন প্রিয়াঙ্কা৷ তার শপথ নেওয়াযর সময় গান্ধী পরিবার থেকে তিন জন প্রতিনিধি সংসদে ছিলেন৷ রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও তাদের মা সোনিয়া গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ পদে রয়েছেন৷ সকাল ১১টা নাগাদ ওয়েনাড় কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে শপথ নেন প্রিয়াঙ্কা। ডান হাতে লাল-কালো মলাটের সংবিধান তুলে ধরে শপথগ্রহণ করেন তিনি। তারপর লোকসভার অন্য সাংসদ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে নমস্কার বিনিময় করেন প্রিয়াঙ্কা।
বৃহস্পতিবার সকালেই কংগ্রেস সাংসদদের বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন নবনির্বাচিত সাংসদ প্রিয়াঙ্কা।তিনি লোকসভায় আসছেন, এই খবর পেয়ে সংসদ চত্বরে হাজির হন অন্য কংগ্রেস সাংসদরা।গাড়ি থেকে নেমে প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি ভীষণ খুশি। তার পরেই দাদা রাহুল এবং মা সোনিয়ার সঙ্গে সংসদের ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি।শপথগ্রহণের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে নমস্কার করেন তিনি। হাসিমুখে প্রতি-নমস্কার করতে দেখা যায় একদম সামনের সারিতে বসা রাহুলকেও।
প্রসঙ্গত, ওয়েনাড় থেকে জয়ের ক্ষেত্রে দাদা রাহুলের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা৷ ৬ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি৷ দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিআই প্রার্থী সত্যেন মোখেরির সঙ্গে তাঁর ব্যবধাবন ছিল চার লক্ষেরও বেশি ভোটের৷ বিজেপি প্রার্থী নব্য হরিদাসের তুলনায় ৫ লক্ষ ১২ হাজার বেশি ভোট পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা৷
২০০৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে নিয়মিত সোনিয়া-রাহুলের প্রচারে অংশ নিলেও প্রিয়াঙ্কা আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়েনাড়, দুই আসন থেকেই জয়ী হওয়ায় দ্বিতীয় আসনটি ছেড়ে দেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে দেওয়া আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হন প্রিয়াঙ্কা।






































































































































