রবি মরশুমের শুরুতেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দ্বিতীয় দফার টাকা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে গিয়েছে, প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ উপভোক্তাকে ওই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ২৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই মাসের শেষে এই টাকা দেওয়া শুরু করবে অর্থ দফতর ।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাংলা শস্য বিমা যোজনার আবেদনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছি।প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খরিফ মরশুমের শুরুতে এই টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। এবার রবি মরশুমের শুরুতেও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে।এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে কৃষি দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে নবান্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, কৃষকদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া। এই প্রকল্পে বছরে সাধারণত দু’দফায় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয় । জমির পরিমাণ অনুযায়ী একজন কৃষক বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা করে পান। যে সমস্ত কৃষকের এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমি রয়েছে, তারা বছরে একর প্রতি ১০ হাজার টাকা পাবেন। যে সমস্ত কৃষকের এক একর বা তার কম চাষযোগ্য জমি রয়েছে, তারা একর প্রতি ৪ হাজার টাকা করে পাবেন ।
খরিফ মরশুমের টাকা সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, রবি মরশুমের টাকা অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে দেওয়া হয়। গত বছর রবি মরশুমের কিস্তি দেওয়া হয়েছিল, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আগের খারিফ মরশুমে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ২৯১৬ কোটি টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেওয়া হয়েছিল ।