পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নয়া পদক্ষেপ ইউনুস সরকারের। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেমন ভারত বিরোধিতা বজায় রাখছে তেমনই ইসলামাবাদের (Islamabad) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Dhaka University) পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের পড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি-সহ নানা বিষয়ে বিনিময় করতে পারবে ঢাকা। পাশাপাশি পদ্মাপাড়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। ২০১৫ সালে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে টানা ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। তাই যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান এই বিষয়টি স্বীকার করছে ততদিন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। কিন্তু চলতি মাসের ১৩ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সহ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা জানান, যেকোনও অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানে অনেকেই স্কলারশিপ বা কনফারেন্সে যোগ দিতে চায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ব্যতিক্রম নয়। তাই সবদিক বিবেচনা করেই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও কূটনৈতিকরা মনে করছেন যে ভারত বিরোধী পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এই ‘সুসম্পর্ক’ তৈরির চেষ্টা, নয়াদিল্লির জন্য মোটেই শুভ সংকেত নয়।