মোদি-রাজ্য গুজরাটে (Gujarat) মাত্রাছাড়া র্যা গিংয়ের (Ragging) বলি হলেন এক ডাক্তারি পড়ুয়া (Medical Student)। গুজরাটের পাটন জেলার ধরপুরের জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) শনিবার রাতে ঘটে গেল নির্মম ঘটনা। কলেজের প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছাত্র (Student) মারাত্মক র্যা গিংয়ের শিকার হন বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে অনিল নটবরভাই মেথানিয়া নামে এক ছাত্র ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, কেন গুজরাটের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Hospital) র্যা গিংয়ে ছাত্র-মৃত্যুর পরও নীরব প্রতিবাদীরা? কোথায় গেল তাঁদের প্রতিবাদ। আরজি কর নিয়ে যাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছিলেন, তাঁরা কেন এখন চুপ করে বসে। প্রতিবাদ হবে না? রাতদখল-ভোরদখল হবে না? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
ডাক্তারি পড়ার জন্য ১৮ বছরের অনিল ভর্তি হয়েছিলেন গুজরাটের জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজে। মোদি-রাজ্যে সিনিয়র ছাত্রদের রোষানলেপড়েন তিনি। শুধু সুরেন্দ্রনগরের বাসিন্দা অনিলই নন, আরও কয়েকজন ডাক্তারি পড়ুয়া কলেজেরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের দ্বারা র্যা গিংয়ের শিকার হন। প্রথম বর্ষের কয়েক জন ছাত্রকে ডেকে পাঠান সিনিয়ররা। তারপর তিন ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাঁদের। একটুও বসতে দেওয়া হয়নি। এমই নির্মম আচরণের পর সিনিয়র ছাত্ররা একে একে তাঁদের পরিচয় জানতে চান। সেই সময়েই অনিল মাথা ঘুরে পড়ে যান এবং সংজ্ঞা হারান।
এরপর টনক নড়ে সিনিয়রদের। দাদাগিরির ফল যে এত মারাত্মক হবে তারা বুঝতে পারেনি। ছাত্রছাত্রীরাই অনিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অনিলের এক সহপাঠী বলেন, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ আমাদের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে আমাদের ডেকেছিলেন সিনিয়রেরা। তারপর দুই থেকে তিন ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় অনেককে। তার পর বলা হয় নিজের নিজের পরিচয় দে। কলেজের অ্যান্টি র্যা গিং কমিটি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কলেজের তরফে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে থানায়। কলেজের ডিন হার্দিক শাহ জানিয়েছেন, র্যা গিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন তাঁরা। পাটনের এসপি রবীন্দ্র প্যাটেল বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। কলেজের অ্যান্টি র্যা গিং কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই পদক্ষেপ করবে পুলিশ।







































































































































