পুরো একটা দিন ঠায় দাঁড়িয়ে। চোখের কোনায় জলের বিন্দু। মাঝে মাঝেই শুঁড় তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে আর্তনাদ সন্তানহারা মায়ের। বনকর্মী থেকে স্থানীয় কাউকেই শাবকের কাছে ঘেঁষতে দেয়নি হাতিটি। সযত্নে আগলে রেখেছিল সন্তানের দেহ। রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই শুঁড় দিয়ে কোনওক্রমে মৃত শাবককে তুলে কিছুটা দূর নিয়ে যায় মা হাতিটি। সেখানেই অর্ধেক মাটি চাপা দিয়ে কিছুক্ষণ আরও অপেক্ষা করে জঙ্গলের পথ ধরে মা। আরও একদল হাতির কাছে তখন পৌঁছে গিয়েছে খবর। সদ্য সন্তানহারা মায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে জঙ্গলের বাসিন্দা আরও একদল হাতি। দূর থেকে তারা পাহারা দিয়েছে সমাধিস্থ শাবককে। যার জেরে শাবকের দেহ উদ্ধার করতে যথেষ্টে বেগ পেতে হয়েছে বনকর্মীদের।

শেষমেশ সন্ধের আগে বন দফতরের কর্মীরা উদ্ধার করে দেহ। গরুমারা এডিএফও রাজীব দে বলেন, মৃত শাবকটির মা কিংবা তার দলের অন্য হাতিরা যাতে ক্ষুব্ধ না হয়ে ওঠে, সে কারণে সারাদিন অপেক্ষার পর দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। বানারহাটের কারবালা চা-বাগানে মৃত সন্তানের দেহ নিয়ে মা হাতি যা করল তা দেখে একদিকে তাজ্জব সবাই। অন্যদিকে চোখ ছলছল করে উঠল প্রত্যেকের।
আরও পড়ুন- স্নাতক স্তরে ফের আমূল বদলের পথে ইউজিসি! তীব্র নিন্দা ওয়েবকুপার





































































































































