ধর্ষক তোমার কে হয়? সঞ্জয়ের পক্ষে এবার সরব CPIM-এর ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষি!

0
3

ধর্ষক-খুনীর পক্ষ নিয়ে এবার সরব সিপিএম-এর ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukharjee)। শিয়ালদহ আদালতে শুরু হয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেখানেই আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে সোমবার সরাসরি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিশানা করেন মূল অভিযুক্ত। তার ১২ ঘণ্টা পরেই তার পক্ষ নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষি।

আর জি কর-কাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। সেদিন আদালত থেকে বেরোনর সময় সঞ্জয় অভিযোগ করে, “সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে না তুমি কিছু বলবে না। তুমি কিছু বলবে না। আমি নাম বলে দিচ্ছি। বিনীত গোয়েল, যিনি আছেন ডিসি স্পেশাল ওনারা নিজে আমাকে ফাঁসিয়েছেন। বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল ওনারা নিজেরা সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছেন। আমাকে হুমকি দিয়েছে।“ এই প্রসঙ্গ তুলে মীনাক্ষি (Minakshi Mukharjee) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,
“অভয়া কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রকাশ্যে বলেছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছে।
পুলিশমন্ত্রীর উচিত বিনীত গোয়েলকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া।
এমনটা না হলে বুঝতে হবে, বিনীত গোয়েল ও পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং ষড়যন্ত্রের অংশ।
সি বি আই এর উচিত এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা।“

আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, “সিপিএম তোমার কীসের ভয়, ধর্ষক তোমার কে হয়?” যে ধর্ষক-খুনী ফাঁসির দাবিতে এতদিন রাজপথে এত আন্দোলন করল বামেরা, সেই সঞ্জয়ের কথা শুনে এখন তার পক্ষ নিচ্ছেন CPIM-র যুবনেত্রী! এর আগে জানা গিয়েছিল আর জি কর-কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়র দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ড পেলে, তার বিরোধিতা করবে সিপিএম! শুধু তাই নয়, সেই আদেশের বিরোধিতায় উচ্চতর আদালতে আবেদন জানাবেন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শনিবারের বারবেলায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, “সূত্রের খবর: বিচারে ধর্ষণ ও খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসির আদেশ হলে ঊর্ধ্বতর আদালতে ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের পক্ষে লড়বেন সিপিএমের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।“

আরও খবর: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে পাহাড়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী, নাম না করে নিশানা বিজেপিকে

আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের নৃশংস ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়র সঞ্জয় রাইকে (Sanjay Rai) গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু মৃতার বাবা-মায়ের আর্জির ভিত্তিতে তদন্ত যায় সিবিআইয়ের কাছে। প্রথম থেকে মানুষের আবেগকে উস্কানি দিতে পথে নেমেছেন বাম নেতৃত্ব। ধর্ষকের ফাঁসি চেয়েছেন। স্লোগান তুলেছেন, “পুলিশ তোমার কীসের ভয়, ধর্ষক তোমার কে হয়?” দীর্ঘ সময় পার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরাও জানান, মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ই। সেই মতো চার্জ গঠন হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। ১১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এর পর থেকেই এখন সঞ্জয়ের পক্ষ নিতে শুরু করেছেন এতদিন ধর্ষকের ফাঁসি দাবিতে সরবরা! মীনাক্ষি এখন সঞ্জয়ের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে পোস্টও করছেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কী প্রকৃত দোষীর ফাঁসি চান সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা। না কি এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ময়দানে ভেসে থাকের চেষঅটা করছে ভোটবাক্সে শূন্য হওয়া সিপিএম।