বিজেপির পার্টি অফিসে কর্মীর র.ক্তাক্ত দেহ! উস্তিতে রাজনৈতিক খু.ন, অভিযোগ পরিবারের

0
2

বিজেপির পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ কর্মীর মৃতদেহ। গত ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই বিজেপি (BJP) কর্মী। পৃথ্বীরাজ নস্কর নামে উস্তির ওই বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে উদ্ধারের পরই এই ঘটনাকে রাজনৈতিক খুন (Murder) বলে অভিযোগ করা হয়েছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। পার্টির অন্তর্কলহেই ওই কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের দ্বীপের মোড় বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে পৃথ্বীরাজের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, এটা রাজনৈতিক খুন। বিজেপি নিজেদের পিঠ বাঁচাতে আজগুবি গল্প ফেঁদেছে। তারা বলছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে দলীয় কার্যালয়ে দেহটি ফেলে রেখেছিল। জবাবে তৃণমূল জানিয়েছে, তৃণমূল তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপির অফিসে দেহ ফেলে দিয়ে এল আর কেউ জানতেই পারল না! নিজেদের দোষ ঢাকতে এখন এসব বানানো গল্প সামনে আনছে বিজেপি।

পৃথ্বীরাজ বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ছিলেন। পরিবারের দাবি, ৪ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন পৃথ্বীরাজ। এরপর ৭ নভেম্বর উস্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিজেপির এই কার্যালয়টি গত চারদিন ধরে তালাবন্ধ ছিল। পৃথ্বীরাজের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই কার্যালয়টির অবস্থান। তালা বন্ধ দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়েছিল। কেন বিজেপির অফিস তারা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি বিজেপি পরিকল্পনা করেই এই খুন করেছে? এদিন সন্দেহবশতঃ পরিবারের সদস্যরা পার্টি অফিসের জানলা দিয়ে দেখে ভিতরে একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখনই উস্তি থানাকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে তালাবন্ধ দলীয় কার্যালয় থেকে।বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল দেহটি। পোশাক পাশেই পড়েছিল। দেহে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে।

মৃতের বাবা অমরেন্দ্রনাথ নস্কর জানিয়েছেন, পৃথ্বীরাজ বিজেপির মথুরাপুর মিডিয়া সেলের কনভেনার এবং দলের সক্রিয় কর্মী ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে বাড়িতে এসে হুমকি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারাই পৃথ্বীরাজকে খুন করতে পারে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোন কারণ আছে কি না ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির নেতৃত্ব যদি এর মধ্যে না থাকবে, তবে কেন ওই পার্টি অফিস চার দিন বন্ধ ছিল? সেই কারণও তদন্তের স্বার্থে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- কমলো সোনার দাম, বিয়ের সিজনের আগে স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত!