সন্দেহের অবকাশ অনেক আগেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর রেখেছিল। আর জি কর হাসপাতাল (R G Kar Medical College and Hospital) কর্তৃপক্ষের তদন্তে সেই সন্দেহই সঠিক প্রমাণিত হল। হাসপাতালে পাওয়া রক্তমাখা গ্লাভস আদৌ ঢোকারই কথা নয় হাসপাতালে, এমনটাই উঠে আসছে তথ্য প্রমাণ সহ। যে বাক্সের গ্লাভস (gloves) নিয়ে এত কাণ্ড সেই বাক্সের ব্যাচ নম্বর (batch number) সামনে আসতেই খুলতে শুরু হল চক্রান্তের জট। কীভাবে এই গ্লাভস হাসপাতালে এলো এবার তা নিয়ে ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করার দাবি তুলল রাজ্যের শাসকদল। যারা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল তাদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি তুললেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।
আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছিল রক্তমাখা (blood stained) গ্লাভসের রহস্যভেদ করতে। সেই তদন্তে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা যায় গ্লাভসে লেগে থাকা লাল পদার্থ আদৌ রক্ত নয়। তবে সেই পদার্থ কী তা পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (FSL) পাঠানো হয়। একথা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন আর জি কর হাসপাতালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি এটাও সন্দেহ করেছিলেন সন্দেহভাজন গ্লাভসের ব্যাচ নম্বর নিয়েও। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, আর জি কর কর্তৃপক্ষ যে গ্লাভস অর্ডার করেছিল সেই অনুযায়ী আসা গ্লাভসের (gloves) ব্যাচ নম্বর ছিল – ২৪০৭০০৭। যে রক্তমাখা গ্লাভসের প্যাকেট খোলা হয়েছিল তার ব্যাচ নম্বর (batch number) ছিল – ২৪০৬০০৬। অর্থাৎ কোনওভাবেই ওই গ্লাভস আর জি কর হাসপাতালে পৌঁছানোর কথাই না, দাবি সুপারের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কার হাত দিয়ে কীভাবে ওই গ্লাভস হাসপাতালে পৌঁছালো। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “আজ জানা গেল, ওই গ্লাভসগুলো হাসপাতালের অর্ডার দেওয়া গ্লাভসই নয়। নম্বর মিলছে না। তদন্তের নির্দেশ হয়েছে। যদি এই তথ্য ঠিক হয়, তাহলে নিশ্চিত, আতঙ্ক ছড়াতে, মিথ্যা অভিযোগ করতে এগুলো নিয়ে কেউ হাসপাতালে এসেছিল। তাহলে এটা অন্তর্ঘাতমূলক চক্রান্ত। যারা এগুলো নিয়ে মিডিয়াতে বয়ানবাজি করেছিল, তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হোক। তারা বলুক, কারা দিল, কারা শেখালো, ষড়যন্ত্রে কারা।”