১১০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র (Dana) তান্ডবে লন্ডভন্ড ওড়িশার (Odisha) ভদ্রক, ভিতরকণিকা, ধামরা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কোথাও গাছ পড়েছে, কোথাও বাড়ি ভেঙেছে কিন্তু কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার সুপার সাইক্লোনের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রশাসনিক বৈঠক শেষে এমন কথাই জানালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।
মৌসম ভবনের (IMD )পূর্বাভাস মতো ঘূর্ণিঝড় আসার সময় সম্পর্কে একটা ধারণা থাকায় আগে থেকেই ওড়িশায় প্রশাসনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মাঝি জানান যে ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি’র (Zero Casualty) কথা তাঁরা বলেছিলেন শেষ পর্যন্ত তেমনটাই ঘটেছে। প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ডানা। সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এত দুর্যোগের মাঝেও ৬০০০ সন্তানসম্ভবা দুর্গতদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেড় হাজারেরও বেশি প্রসূতি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে ঘূর্ণিঝড়ের ‘লেজের’ অংশও স্থলভাগে পুরোপুরি ঢুকে পড়ে। সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে জোরকদমে গাছ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে। ডানা বর্তমানে হাবালিখাটি থেকে উত্তর উত্তর-পশ্চিম অভিমুখী অবস্থান করছে। বিকেলের দিকে দক্ষিণ পশ্চিমে বাঁক নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পারাদীপের র্যাডার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির দিকে অনবরত নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহন চরণ মাঝি।