বড়সড় প্রভাব না ফেললেও ‘ডানা’র হানায় বাংলায় ক্ষয়ক্ষতি কত? মিলল প্রাথমিক রিপোর্ট

0
2

ওড়িশাতেই আটকে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। আশঙ্কা থাকলেও বাংলায় (West Bengal) বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারেনি এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ো হাওয়ার দাপটে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বড় কোনও ক্ষতির খবর মেলেনি পূর্ব মেদিনীপুর বা দক্ষিণ ২৪পরগনা থেকে। তবে সরকারি সম্পত্তি ও পরিকাঠামো বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধভাঙা এবং ফসল নষ্টের খবর পাওয়া গিয়েছে। নবান্নে (Nabanna) কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী,
•পূর্ব মেদিনীপুর:
৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ার খবর মিলেছে।
বিভিন্ন জায়গায় আড়াইশোরও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে।
প্রায় ৪০০ মাটির বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দিঘা খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও এগরা, কাঁথিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

•পশ্চিম মেদিনীপুর:
১১টি রাস্তা গাছ পড়েছে।
১০ টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে।
একাধিক মাটির বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দাঁতন ও মোহনপুর এলাকায় সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর মিলেছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩৯টি জায়গা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কাজ শুরু করছে।

•ঝাড়গ্রাম:
এখনও পর্যন্ত কোনও খয়ক্ষতির রিপোর্ট আসেনি। তবে সেখানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণে কিছু কিছু এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে।

• দক্ষিণ ২৪ পরগনা:
৫০টিরও বেশি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সুন্দরবন এলাকায় দুটি বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা তা মেরামতির কাজ করছেন।
৩০০টিরও বেশি কাঁচা বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভারী বৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে।

•উত্তর ২৪ পরগনা:
হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, বসিরহাট এই এলাকাগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মেলেনি। বারাসাত, ব্যারাকপুর, বিধাননগরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, সেই কারণে একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবার সকালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) নবান্ন (Nabanna) থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন। প্রভাবিত জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।