‘থ্রেট কালচারের’ বিরোধিতায় সরব হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে জাস্টিসের স্লোগান দিচ্ছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহবাজ শেখ! অথচ নবান্নে (Nabanna) মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ‘নটোরিয়াস ক্রিমিনাল’ প্রসঙ্গে অনিকেত মাহাতোদের (Aniket Mahato) মুখে এই ব্যক্তিকে নিয়ে কোনও কথা নেই। কেন? তাহলে থ্রেট কালচারের আসল প্রশ্রয়দাতা কারা? ছবিসহ গোটা বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) পোস্ট করলেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। এদিন সেই পোস্ট নিজের পেজে শেয়ার করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। থ্রেট কালচারের অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়ার ৫৩ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে ‘নটোরিয়াস ক্রিমিনাল’ বলে আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন অনিকেত মাহাতো। অথচ নিজের লবিভুক্ত হওয়ার জন্য ছাড় দিলেন শাহবাজকে? প্রশ্ন তুলে সরব তৃণমূল নেতা।
কখনও স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কখনও আবার আমরণ কর্মসূচি- বারবার আন্দোলনের নামে রাজ্য সরকারকে ‘থ্রেট’ দিয়ে নিজেদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করে গেছেন WBJDF-এর প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী যতটা নমনীয়ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা ততটাই সুর চড়িয়েছেন। যাঁদের তাঁরা পছন্দ করেন না, সেইসব মেডিক্যাল ছাত্র বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন কোনও প্রমাণ ছাড়াই। অথচ থ্রেট কালচারের অভিযোগ রয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া ছাত্রী মধুমিতা ঘোষের খুনের অভিযোগ রয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে, সেই শাহবাজকে সঙ্গে নিয়ে জাস্টিসের স্লোগান আর থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ‘ডায়লগ’ দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা। শুধু তাই নয় অনিকেত মাহাতোদের দেওয়া নটোরিয়াস ক্রিমিনালের লিস্টে এই চিকিৎসকের নাম নেই। কেন? উত্তরটা খুব সহজ, কারণ তিনি অনিকেতদের লবির। ঠিক এই ভাষাতেই তীব্র আক্রমণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি ২০২১ সালের সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া এফআইআর কপি, মধুমিতার বাবার অভিযোগপত্র এবং অভিযুক্তের ছবি আপলোড করেছেন। শাহবাজ শেখকে ছবিতে মার্ক করে জুনিয়র ডাক্তারবাবুদের কাছে তাঁর প্রশ্ন, অভিযুক্ত ‘সমাজসেবী নাকি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল’! তৃণমূল মুখপাত্রের পোস্ট নিজের পেজে শেয়ার করে কুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন যে এই প্রশ্নের উত্তর চান তিনিও। যেভাবে ডাক্তারবাবুদের পাশে দাঁড়িয়ে তথাকথিত নাগরিক সমাজের একাংশ রাজ্য সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা চালিয়েছেন আজ তাঁদের মুখেও কোন কথা নেই। চিকিৎসকদের আন্দোলন যে বাম , অতি বাম এবং নকশাল রাজনীতির একটা অংশ মাত্র সেই কথা প্রথম থেকেই বলে এসেছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। যেভাবে থ্রেট কালচার এবং খুনে অভিযুক্তদের পাশে নিয়ে আন্দোলনের নামে খবরে ভেসে থাকার চেষ্টা করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা আজ তাঁদের মুখোশ সবার সামনে খুলে গেছে। যদিও এই পোষ্টের পর WBJDF এর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।