আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বুধবারের মধ্যে তা বাংলা ও ওড়িশার উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়বে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। সেই ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র (cyclone Dana) পূর্বাভাস পাওয়ার পরই তৎপর রাজ্য সরকার। সাগরে সতর্কতা জারি করার পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও (National Disaster Management department)। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের হঠাৎ তৎপরতা দেখা গেল কেন্দ্রের সরকারের তরফে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে (Chief Secretary) উপস্থিত থাকার বার্তা দেওয়া হল। তিন রাজ্য নিয়ে সোমবার বৈঠক করবেন কেন্দ্রের সচিব।
বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে কেন্দ্র। সেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিবের (Chief Secretary) কাছে রাজ্যের প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) ও ওড়িশার (Odisha) মুখ্যসচিবদেরও। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র প্রভাব ওড়িশা (Odisha) ও বাংলার উপকূলে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের অনুমান, সেই সঙ্গে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা অন্ধ্রপ্রদেশেরও (Andhra Pradesh)। ফলে তিন রাজ্যকেই প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। তিন মুখ্যসচিবের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক (virtual meeting) করবেন কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। সোমবার দুপুর ৩টেয় এই বৈঠক।
গত বছর বা তার আগের দুবছর বাংলার কোনও বিপর্যয়ে কোনও সাহায্য় কেন্দ্রের থেকে পাওয়া যায়নি। সমালোচনার পরে বিগত বিপর্যয় পেরিয়ে যাওয়ার পরে কিছু সাহায্য দিলেও রাজ্যের সরকার আর্থিকভাবে তার আগেই সব পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিল। বুধবার বা বৃহস্পতিবার যে ঘূর্ণিঝড় প্রায় ১৩৫ কিমি বেগে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে তা বাংলার উপকূল থেকে প্রায় আটশো কিলোমিটার দূরে বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ঘূর্ণাবর্ত হিসাবে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে এর গতিবেগ হতে পারে ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতি ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে ১৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের।