আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তদন্ত কমিটির কোপে সাসপেন্ড ৫০-এর বেশি ইনটার্ন। তবে, তাঁদের দাবি তাঁরা নির্দোষ। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই তাঁরা সাসপেন্ড হয়েছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তাঁরা। বুধবার, তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন এই সাসপেন্ড হওয়া ইনটার্নদের ১০-১২জন। কুণাল জানান, কেউ যদি দোষী হন, তিনি শাস্তি পাবেন। কিন্তু যাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার, তাঁদের হয়ে তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানান। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল। কারণ, তদন্ত কমিটির সদস্যরা জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হচ্ছেন।
আর জি কর-কাণ্ডে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম অভিযোগ ছিল ‘থ্রেট কালচার’। তার তদন্তে রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই কমিটির বিরুদ্ধেই এখন উল্টো অভিযোগ হচ্ছে। বেছে বেছে কয়েকজন পিজিটি ও ইন্টার্নের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ জমা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, যাঁদের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা পছন্দ করেন না তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ জমা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগে মধ্যস্থতা করেন কুণাল ঘোষ।এক্ষেত্রে সেই আশাতেই তাঁরা তৃণমূল নেতার কাছে এসেছেন বলে জানান সাসপেন্ডেড ইন্টার্নরা। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পরে কুণাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়। এ সবের নেপথ্যে রয়েছে কিছু বাম সংগঠন। অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এই ষড়যন্ত্রের অংশ হতে চাইছে না, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তাঁর কথায় যদি কেউ দোষী হয়, সে শাস্তি পাক। কিন্তু যে হুমকির অভিযোগ তোলা হচ্ছে সে বিষয়টা নিয়ে সরকারকে দেখার আবেদন জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ।
আরও পড়ুন- অনশন মঞ্চ ফাঁকা, প্রচারের নামে অশান্তির অপচেষ্টা! আন্দোলনকারীদের ধুয়ে দিলেন কুণাল