রাজ্য সরকার বারবার বৈঠক ও পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও লাগাতার কর্মবিরতি জারি রাখেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একের পর এক যুক্তিতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর লাগাতার চেষ্টা চালানো জুনিয়র চিকিৎসকরা হঠাৎই কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন শুক্রবারের সন্ধ্যায়। প্রতীকী হিসাবে ধর্মতলায় অবস্থানে বসার কথা জানালেও রাজ্য জুড়ে পরিষেবা দেওয়ার কাজ তাঁরা শুক্রবার থেকেই ঘোষণা করলেন। কার্যত এদিন সকাল থেকে সিনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন থেকে সরে আসার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তাকেই মান্যতা দিয়ে অবস্থান বদল জুনিয়র চিকিৎসকদের।

রাজ্যের তরফে বারবার আলোচনার বার্তা, বৈঠক। তারপরে কাজে ফিরেও আবার কর্মবিরতির পথে যাওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের হঠাৎই মতি বদল। রাজ্যের তরফে নতুন কোনও বার্তা নেই। আগে-পিছে নেই সুপ্রিম কোর্টের শুনানিও। তারপরেও শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের। অনেক ক্ষেত্রেই জুনিয়রদের পিছন থেকে সিনিয়রদের সমর্থন সরে যাওয়ার দাবিও উঠেছে। শুক্রবার ডোরিনা ক্রসিংয়ে হঠাৎই রোগী-দরদী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, জনগণের সমর্থন নিয়ে কর্মবিরতি তুলে নিচ্ছেন তাঁরা।

জুনিয়র চিকিৎসকদের ঘোষণার আগে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মবিরতি উঠে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। সেখানেই সিনিয়র চিকিৎসকদের কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “উস্কানিদাতা সিনিয়রদের পুজোয় দেশবিদেশের টিকিট কাটা। সামলাতে হবে জুনিয়রদের। নাহলে ‘বিশেষ’ সমস্যা। তাই বিবেক জাগরিত উপদেশ। কর্মবিরতির বিকল্প ভাবো। এতদিন মনে হয়নি?”

কার্যত সেই দাবিকেই মান্যতা দিল সন্ধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ঘোষণা। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অংশ হিসাবে ধর্মতলায় তাঁরা লাগাতার অবস্থানে বসার ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তাঁরা আমরণ অনশনের পথে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। উৎসবের মরশুমে যেখানে কলকাতা পুলিশ ধর্মতলায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, এবার সেই জায়গাকেই আন্দোলনের মঞ্চ বানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।









































































































































