ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে জটিলতা ক্রমশই বাড়ছে। তৃণমূল-সহ বাকি বিরোধী দলগুলি সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা যাবে না বলে মোদি সরকারকে তুলোধনা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসির বৈঠকেও সরকারকে কোণঠাসা করেছে বিরোধী শিবির। এমনকি শেষ বৈঠকে ওয়াক আউটও করেন বিরোধী দলগুলির সাংসদরা ।

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই জটিলতা আরও বেড়েছে। এদিন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই-র শীর্ষকর্তারা উপস্থিত হন বৈঠকে। সূত্রের খবর এএসআই কর্তারা জানিয়ে দেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেসমস্ত মনুমেন্টগুলি আছে সেগুলি তাদের তরফে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কোন জায়গাগুলি তাদের এবং কোন জায়গাগুলি ওয়াকফ বোর্ডের, তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এই মর্মে ১৩২ টি জায়গার নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে জমা দেন তাঁরা। পরের ধাপে আরও জায়গার নাম তালিকাভুক্ত করা হবে বলে বৈঠকে জানান এএসআই শীর্ষকর্তারা। এএসআইয়ের তরফে কমিটির সামনে তুলে ধরা এই সম্পত্তিগুলির তালিকা নিয়ে প্রবল চাপে পড়েছে সরকার, দাবি সূত্রের। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যৌথ সংসদীয় কমিটির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নাদিমুল হক।

সংসদীয় সূত্রের দাবি, এদিনের বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ইস্যুতে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সারা ভারত জাকাত ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্তারা। সংস্থার তরফে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাজিব জং এবং সঈদ জাফর মেহমুদ দাবি করেন, মোদি সরকারের তৈরি এই বিল প্রচুর বিভ্রান্তি তৈরি করছে৷ অবিলম্বে এই বিল বাতিলের দাবি জানান তাঁরা। এই দাবিতে আরও চাপে পড়ে সরকার পক্ষ। একদিকে এএসআই কর্তাদের সম্পত্তি তালিকা, অন্যদিকে জাকাত ফাউন্ডেশনের কঠোর অবস্থান, দুইয়ের চাপে কোণঠাসা মোদি সরকার এখন জেপিসি বৈঠকে নতুন কী কৌশল নেয়, সেদিকেই চোখ থাকছে রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন- ‘আমি শুনেছি সেদিন’ গানের রিমেক ভার্সন গেয়ে ট্রোলড অরিজিৎ!










































































































































