পদ্মার ইলিশ মানেই একটা নস্টালজিক ব্যাপার। আর তার স্বাদের কোনও তুলনাই হয়না। কিন্তু এবছর এখনই সেই রূপোলি শস্য মুখে তোলার সুযোগ নেই রাজ্যবাসীর! চলতি বছরে ওপার বাংলা থেকে ইলিশ না আসার সম্ভাবনা বেশি। দুর্গাপুজোর আগে এই খবরে হতাশ এপার বাংলার ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সবাই।
তথ্য বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ঢুকেছিল ১৪টন ইলিশ। আর এবছর এখনও পর্যন্ত সেই ইলিশের দেখা নেই। তবে একেবারেই যে আসছে না, তা অবশ্য নয়। চোরা পথে সামান্য কিছু আসছে। বিকোচ্ছে কেজি প্রতি আড়াই হাজার টাকা দরে। তবে কতটা ‘সত্যিই’ পদ্মার ইলিশ আর কতটা পদ্মার ইলিশ বলে ‘চালানো হচ্ছে’ তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।রাজ্যে ইলিশের জোগান দিচ্ছে ডায়মন্ড হারবার ও দিঘা। তার মধ্যে এগিয়ে ডায়মন্ড হারবারই। তবে এপার বাংলার বাসিন্দাদের ‘অসাধারণ স্বাদ’ থেকে বঞ্চিত করছে ওপার বাংলা।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে ইলিশ না আসার জন্য জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। চোরাইপথে কিছু এলেও তা সকলের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।এমনকী, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ওপার বাংলার মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
আসলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত, আপাতত ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না। বলা হয়েছে, আগে বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, তারপরে ভারতের কথা ভাবা হবে। এও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতে বন্ধ ইলিশ রফতানি। তবে এত কিছুর পরেও ওই দেশের বাসিন্দারাও ইলিশ কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন।জানা গিয়েছে, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে গড়ে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়।নিশ্চয়ই ভাবছেন কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ২৩ জুন পর্যন্ত সাগরে গিয়ে মাছ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। মোট ৬৫ দিন এই বিধিনিষেধ ছিল। তারপরে গিয়ে আর তেমন পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যায়নি।






































































































































