স্কুলেই (School) যদি নিরাপত্তা (Safety) না থাকে তাহলে শিক্ষার (Education) অধিকার নিয়ে এত আলোচনা করে লাভ কী হবে? মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বদলাপুরের (Badlapur) স্কুলে দুই শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শিন্ডে সরকারের পুলিশকে চরম ভর্ৎসনা বম্বে হাইকোর্টের (Bombay Highcourt)। পাশাপাশি দুই শিশুর যৌন নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে কেন এত দেরি হল, সেই নিয়েও পুলিশকে তোপ হাই কোর্টের।

গত ১৬ আগস্ট থানের বদলাপুরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। এরপরই ওই দুই শিশুর পরিবার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জনতা। যদিও গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে বিজেপি নেতাকে আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। এহেন পরিস্থিতিতে বদলাপুরের ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে বম্বে হাই কোর্ট।

বৃহস্পতিবার শুনানি শুরু হতেই ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। পরিস্থিতিকে অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে বেঞ্চের প্রশ্ন, যদি স্কুলেই শিশুরা নিরাপদ না থাকে তাহলে শিক্ষার অধিকার নিয়ে এত কথা বলে কী লাভ? কেনই বা অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও সেটা নথিভুক্ত করল না পুলিশ? তবে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারী দলের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করে হাইকোর্টের বেঞ্চ। বিচারপতি বলেন, বদলাপুরের ঘটনায় যেভাবে তদন্তকারীরা তথ্য পেশ করেছেন তাতে উদাসীনতার ছাপ স্পষ্ট। বিশদ তথ্য কোথায়? আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিট গঠন হলেও তাদের কাছে সমস্ত তথ্য পাঠায়নি পুলিশ। বরং আদালতের থেকে তথ্য গোপনের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষ সমস্ত ঘটনা জেনেও কেন পকসোর আওতায় অভিযোগ দায়ের করেনি? সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত।









































































































































