‘‘আমি সমস্ত ফুটবল এবং ক্রীড়া সমর্থকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যুবভারতীর সামনে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক জমায়েতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের পুলিশের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে। রবিবার সল্টলেকে (Salt Lake) যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে ফুটবল সমর্থকদের জমায়েতে পুলিশি দমনের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদের দাবি জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)।
I appeal to all football and sports lovers to protest unitedly against the arbitrary arrests of supporters of Mohunbagan and East Bengal in a peaceful and democratic manner. Jai Mohunbagan! Jai East Bengal!
রবিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকদের একত্রে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যেভাবে পুলিশ রবিবারের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের উপর লাঠিচার্জ করেছে, ফুটবল সমর্থকদের যে ভাবে আটক করা হয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন সুখেন্দু। সেই সঙ্গে কলকাতা ময়দানের দুই প্রধানকে একত্রিত হয়ে গর্জে ওঠার ডাকও দিয়েছেন।রবিবার ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের। তবে শেষ মুহূর্তে ডার্বি বাতিল করে দেওয়া হয়। ডার্বি চলাকালীন আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মাঠেই প্রতিবাদ জানাতেন সমর্থকেরা।
তবে ডার্বি বাতিলের পর যুবভারতীর সামনে সেই প্রতিবাদ জানাবেন বলে জমায়েত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের হাজারো সমর্থক। পরে জমায়েতে যোগ দেন মহামেডান ক্লাবের কিছু সমর্থক। এর আগে অবশ্য সাংবাদিক সম্মেলন করে যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে বিধাননগর পুলিশ। তবে তাতে দমেননি বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, ফুটবল সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বেশ কয়েক জনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন সুখেন্দু।